মোহনবাগান- ২
টালিগঞ্জ অগ্রগামী- ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন সত্তর-আশির দশক। রবিবাসরীয় ময়দানে আট থেকে আশির ভিড়। প্রিয় দলের জয় দেখতে সবার গন্তব্য একটাই। মোহনবাগান মাঠ। আর সদস্য-সমর্থকদের আশা পূরণও করলেন বাগান খেলোয়াড়রা। কলকাতা লিগের ম্যাচে জয়ের দৌড় অব্যাহত রেখে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে ২-০ গোলে হারাল তাঁরা। গোল করলেন ক্রোমা এবং নিখিল কদম।
লিগের শুরু থেকেই ভিড়ের দিক থেকে প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিচ্ছিল মোহনবাগান। টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছিল ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগেই। শেষদিকে দশ-পনের টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছিল চার-পাঁচগুণ বেশি দামে। এরপরও যাঁরা টিকিট পাচ্ছিলেন না, দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন ব়্যামপাটে। কেউ আবার খেলা দেখার জন্য আরজি জানাচ্ছিলেন ঘোড়সওয়ার পুলিশকে। আর এই সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে রবিবার নতুন এক ব্যবস্থা করেছিলেন বাগান কর্মকর্তারা। বিদেশের ধাঁচে স্টেডিয়ামের বাইরে লাগানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। যাঁরা মাঠে ঢুকতে পারেননি, তাঁদের জন্য বিনামূল্যে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জড়ো হয়েছিলেন বহু মোহনবাগান সমর্থক। বাগান সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত প্রথমে এই উদ্যোগ নেন। পরে পুরো ব্যাপারটির দায়িত্ব নেন মোহনবাগান কার্যকরী কমিটির দুই সদস্য সুরজিৎ নন্দী এবং সোমনাথ ঘোষ।
[দেশের এই শহরে এবার বসল দৃষ্টিহীনদের জন্য ফুটবল ক্যাম্প]
এদিকে, এদিন মাঠে গত ম্যাচগুলির মতোই ফুল ফোটালেন বাগান ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষ কোচ হিসেবে হেরেই মাঠ ছাড়তে হল সুভাষ ভৌমিককে। এদিন খেলা শুরুর ১৬ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ক্রোমা। বায়ো কামোর পাস থেকে তেকাঠিতে বল পাঠান প্রাক্তন এই চার্চিল খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল না হলেও একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন কামো-ক্রোমারা। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। টালিগঞ্জের খেলোয়াড়রা মাঝেমধ্যে আক্রমণে আসলেও কখনই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটির রক্ষণে দাঁত ফোটাতে পারেননি। ম্যাচের শেষদিকে ৮১ মিনিটের মাথায় টালিগঞ্জের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন নিখিল কদম। তবে খেলোয়াড়দের গোল মিস কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বাগান কোচের কপালে।
[‘দলে সুযোগ পেতে ফর্ম নয়, জরুরি ভাল হেয়ার স্টাইল,’ বিস্ফোরক গাভাসকর]
প্রসঙ্গত, এদিন ছিল বাগানের ‘সবুজ তোতা’ জোসে রামিরেজ ব্যারেটোর জন্মদিন। মাঠে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই জয় ব্যারেটোর জন্মদিনকে সবদিক থেকে সার্থক হয়ে উঠল। ম্যাচ শেষে মোহনবাগান মাঠে প্রদক্ষিণও করলেন মোহন জনতার আদরের সবুজ তোতা। এদিকে, টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়ে লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে মোহনবাগান। গোলপার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা।