Advertisement
Advertisement
CFL

কলকাতা লিগে চারজন ভূমিপুত্র খেলানো বাধ্যতামূলক, নিয়ম আনল IFA

আগামী মরশুমে ভূমিপুত্রের সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে আইএফএ।

CFL to have four homegrown players at least, says IFA

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 4, 2024 12:35 pm
  • Updated:April 4, 2024 12:35 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে চারজন ভূমিপুত্র ফুটবলার খেলানো বাধ্যতামূলক করে দিল আইএফএ (IFA)। যদিও আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত চেয়েছিলেন ছয়জন ভূমিপুত্র ও পাঁচজন বহিঃরাজ্যের ফুটবলার খেলানো হোক প্রথম একাদশে। কিন্তু তিন প্রধান ও সঙ্গে কয়েকটি ক্লাব এই মুহূর্তে ছয়জন ভূমিপুত্র খেলানোর বিষয়ে প্রবল আপত্তি জানায়। এত অল্পসময়ের মধ্যে ২৬টি ক্লাবের পক্ষে সমমানের ভূমিপুত্র জোগাড় করা কঠিন বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ ক্লাব কর্তারা। কার্যত এই আপত্তির কাছেই ছয় ভূমিপুত্রের তত্ত্ব থেকে সরে আসেন সচিব। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয় আপাতত চারজন ভূমিপুত্র প্রথম একাদশে রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে এই মরশুমে।

জানা গিয়েছে, সভায় তিন বড় ক্লাবের কর্তারাই আইএফএ কর্তাদের কাছে পাল্টা প্রস্তাব রাখেন, প্রথম একাদশে ২ জন ভূমিপুত্র রাখার। তাদের যুক্তি ছিল এত অল্প সময়ে এত ভূমিপুত্র জোগাড় করা কঠিন। উদাহরণ তুলে আনা হয় সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ট্রায়ালেরও। সেখানে ষাট থেকে সত্তরজন ফুটবলারের বেশি যোগ দিতে দেখা যায় না। প্রশ্ন ওঠে তাহলে এই অল্প সময়ে ২৬টি ক্লাব এত ভূমিপুত্র ফুটবলার পাবে কোথা থেকে? তিন প্রধানের তিন কর্তা ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বাবু চক্রবর্তী, মোহনবাগানের (Mohun Bagan) আশিস সরকার ও মহামেডানের (Mohammedan SC) বেলাল আহমেদরা এমন প্রশ্ন তোলেন সভায়। তখনই সিদ্ধান্ত হয় ছয়ের বদলে চার ভূমিপুত্র খেলানো হোক এই মরশুমে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলেবেলার লাজুক ছেলেই আজ কথায় কথায় ‘রগড়ে’ দেন! প্রেম এসেছিল দিলীপ ঘোষের জীবনে?]

তবে এই মরশুমে যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে তাহলে লিগের পরে ফের বৈঠকে বসবেন প্রিমিয়ারের ক্লাব কর্তারা। সেখানে লিগের রিভিউ করা হবে। সেই রিভিউতে ফের চার ভূমিপুত্র থেকে সংখ্যাটি বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হবে। এভাবেই ভূমিপুত্র বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আইএফএর। এদিনের বৈঠকে তিন প্রধান-সহ প্রিমিয়ারের সব ক্লাবকেই আসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে তিন প্রধান, ডায়মন্ডহারবার এফসি, ভবানীপুর, খিদিরপুর, ইউনাইটেড স্পোর্টস, সাদার্ন সমিতি, সুরুচি সংঘ, আর্মি-সহ একাধিক ক্লাব উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না ম্যাচ ফিক্সিং অভিযোগে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া দুই ক্লাব টালিগঞ্জ অগ্রগামী ও উয়াড়ি ক্লাবের কর্তারা। যদিও জানা গিয়েছে সাসপেনশনের চিঠি এখনও আইএফএ থেকে অভিযুক্ত ক্লাবের কাছে এখনও পৌঁছয়নি। এদিন আর্মি ক্লাবের পক্ষ থেকেও চারজন ভূমিপুত্র খেলানো নিয়ে প্রাথমিক সম্মতি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইএফএ সচিব।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগুনে গরমে পুড়বে গোটা দেশ, এপ্রিল-জুনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা মৌসম ভবনের]

বৈঠক শেষ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “আমরা ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক ভূমিপুত্র জোগাড় করা কঠিন। তাই আপাতত এই মরশুমের জন্য প্রথম একাদশে চারজন ভূমিপুত্র খেলা বাধ্যতামূলক করা হল। তবে পরীক্ষামূলক ভাবে যদি এই চারজন ভূমিপুত্র নিয়ে কোনও সমস্যা না হয় তাহলে আগামী মরশুমে এই সংখ্যাটা বাড়বে তা বলাই যায়। লিগের শেষে ফের বৈঠকে বসব এই বিষয়টি নিয়ে।” এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সদ্য সাসপেন্ড হওয়া উয়াড়ি ও টালিগঞ্জ অগ্রগামীর কর্তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ