Advertisement
Advertisement

Breaking News

কামো ঝড়ে উড়ে গেল পাঠচক্র, জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের

চার-চারবার বিপক্ষের জালে বল জড়ালেন কামো।

CFL2017: Mohun Bagan beats Pathachakra
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 21, 2017 1:50 pm
  • Updated:October 4, 2019 4:48 pm

মোহনবাগান: ৫ (কামো-৪, ক্রোমা) 

পাঠচক্র: ২ (ভুটিয়া, জোয়েল)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা স্টেডিয়াম তখন সবুজ-মেরুন রঙের মশালে রঙিন। গ্যালারি থেকে ভেসে আসছে একটাই নাম, ‘কামো… কামো’। পাঠচক্রকে দুরমুশ করে ম্যাচের নায়ক হয়ে গিয়েছেন তিনি। মাঠ থেকে ড্রেসিংরুম যাওয়ার পথে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুশি কামো নিজেও। কলকাতা লিগে বড়সড় পরীক্ষা দিতে নেমে দর্শকদের মন জয় করে নিতে সফল তিনি।

Advertisement

গঙ্গাপারের ক্লাবে পা রাখা ইস্তক একটি কথা বারবার শুনে আসছেন কামো স্তেফানে। টানা সাতবার কলকাতা লিগ জিতেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। আর সেই বিষয়টিই যেন তাঁর জয় ছিনিয়ে নেওয়ার জেদটা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। যার প্রতিফলন ঘটল সোমবার নিজেদের মাঠে। চার-চারবার বিপক্ষের জালে বল জড়ালেন কামো। অনামী পাঠচক্রকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়ে তিন পয়েন্ট ঝুলিতে ভরল মোহনবাগান।

[ঝুলন গোস্বামীকে বিশেষ সম্মান ফ্যানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়ামের]

মহামেডানকে ৪-২ গোলে হারিয়ে নজর কেড়েছিল পাঠচক্র। আর এদিনও ধারে ও ভারে অনেকখানি এগিয়ে থাকা মোহনবাগানকে শুরুতেই জোর ধাক্কা দেন পাঠচক্রের ফুটবলাররা। চলতি মরশুমে প্রথমবার বাগান ডিফেন্স ভাঙতে সফল পাঠচক্রের নাদং ভুটিয়া। কিন্তু তারপরই মাঠে শুরু হল কে-টু’র দাপট। দুই বিদেশিই ছারখার করে দিলেন বিপক্ষকে। গোল হজমের কিছু পরে ওয়ান ইজটু ওয়ান পজিশন থেকে গোলের সহজ সুযোগ আসে ক্রোমার কাছে। যদিও তা কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। তবে সে অভাব পূরণ করলেন কামো। ক্রোমার পাস থেকেই সমতা ফেরান আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার। তারপর তাঁকে আর আটকানো গেল না। বিপক্ষের ডেরায় লাগাতার আক্রমণ শানাতে শুরু করেন। প্রথমার্ধেই দলকে এগিয়ে দিয়ে স্বস্তি ফেরান। সেই গোলের নেপথ্যেও সতীর্থ ক্রোমা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করলেন। চলতি কলকাতা লিগে প্রথম ফুটবলার হিসেবে চার গোলের নজির গড়লেন আইভোরিয়ান। এদিকে ক্রোমাও জানেন, তাঁর প্রতি ভক্তদের প্রত্যাশা অনেক।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও দ্বিতীয়ার্ধে লং শটে বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অবশ্য আরও একটি গোল শোধ করেন পাঠচক্রের জোয়েল সানডে।

[ওয়ানডেতে হারের জের, সমর্থকদের রোষের মুখে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা]

মাঠে নামার আগে পাঠচক্রকে সমীহ করেই চলছিলেন বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। জানতেন, লালকমল, স্নেহাশিসদের মতো অভিজ্ঞরা রয়েছেন সেই দলে। সতর্ক হয়েও গোল হজম করতে হল বাগানকে। তাই পরের ম্যাচে যে রক্ষণের ভুল শুধরে নিতে চাইবেন, তা বলাই যায়। তবে তিন ম্যাচে ন’পয়েন্ট পকেটে পুরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সমান তালে এগোচ্ছে পাল তোলা নৌকা। আর এতেই স্বস্তি মোহনবাগানের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ