চার্চিল: ৩ (সিসে, প্লাজা ২)
মোহনবাগান: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবাসরীয় যুবভারতীতে ফের লজ্জাজনক পারফরম্যান্স মোহনবাগানের। ঘরের মাঠে পয়েন্ট নষ্ট করার যে অভ্যেস বদলাতে চাইছিলেন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী তা আবারও কাঁটা হল মোহনবাগানের। চেনা মাঠে বিশ্রী পারফরম্যান্সের ফলে ৩-০ গোলে হারতে হল সবুজ মেরুনকে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল একদিন আগেই পাহাড় থেকে পয়েন্ট খুঁইয়ে এসেছে। পরপর দুটি হারের ফলে এই মুহূর্তে বেশ চাপে লাল-হলুদ শিবির। রবিবারের ম্যাচ জিততে পারলে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়ে সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু ঘরের মাঠে সেই সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করে ফেললেন সবুজ-মেরুন শিবিরের ফুটবলাররা। খারাপ পারফর্ম্যান্স তো বটেই, মোহনবাগানের পরিচিত লড়াকু মানসিকতাও দেখাতে পারলেন না সোনি নর্ডি, ডিপান্ডা ডিকারা। ছন্দহীন আক্রমণ, ছন্নছাড়া মাঝমাঠ আর দুর্বল রক্ষণই ছিল এদিনের মোহনবাগানের ইউএসপি।
ম্যাচের শুরু থেকেই নজরে পড়ছিল রক্ষণের দুর্বলতা। কিংসলে, অরিজিত, অভিষেকদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট হয়ে যায় শুরুতেই। মাঝমাঠেও অজস্র মিস পাস আর অপ্রয়োজনীয় ত্রুটি, আক্রমণে ইউটা, সোনিরা চেষ্টা করলেও সংঘবদ্ধ আক্রমণ দানা বাঁধেনি সেভাবে। প্রথমার্ধে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন আক্রমণ তৈরি হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে তাও নজরে পড়ল না। এর ফলে ৩-০ গোলের সহজ জয় পেয়ে গেল চার্চিল। এর মধ্যে আবার দুটি গোল করলেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গলি উইলিস প্লাজা। প্রথমার্ধের ২১ মিনিটে চার্চিলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন সিসে। দ্বিতীয়ার্ধের ৪ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে মোহনাবাগানের ম্যাচে ফেরার সব রাস্তা বন্ধ করে দেন প্লাজা। তাঁর প্রথম গোলটি আসে ৫১ মিনিটে, দ্বিতীয়টি ৫৫ মিনিটে। দুটি ক্ষেত্রেই প্রশ্ন তুলতে হয় মোহনবাগানের রক্ষণকে। বক্সের মধ্যে প্লাজার মতো বিপজ্জনক স্ট্রাইকারকে কেন মার্ক করা হল না? প্রশ্ন তুলছেন যুবভারতীতে উপস্থিত হাজার হাজার সবুজ-মেরুন সমর্থক। এদিনের ম্যাচে হারের ফলে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে এল মোহনবাগান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.