Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভরা যুবভারতীতে ফুটবল ঐতিহ্যের মাথা হেঁট করলেন ‘সমর্থক’রা

এঁরা কি সত্যিই ফুটবলপ্রেমী?

Fans run amok in Salt Lake stadium, damage property after Brazil-Germany match
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 23, 2017 11:13 am
  • Updated:September 26, 2019 4:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার যেভাবে যুবভারতীতে সাম্বা ঝড় উঠল, তাতে যেন রাতারাতি যুবভারতীর নামই বদলে গিয়েছে। অনেকে সল্টলেক স্টেডিয়ামকে মারাকানা ক্রীড়াঙ্গন বলে ডাকতে শুরু করে দিয়েছেন। হলুদ-সবুজ জার্সির প্রতি বাঙালির আবেগ চিরকালীন। সেই আবেগই যুব বিশ্বকাপের সৌজন্যে সরাসরি প্রকাশ করার সুযোগ মিলেছে। আর তাই উত্তেজনা ও আবেগে বাঙালিকে এভাবে ভাসতে দেখে হতবাক ব্রাজিল কোচ আমাদিউও। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচেই বাকি পাঁচ যুব বিশ্বকাপের ভেন্যুকে পিছনে ফেলল যুবভারতী। তবে একই দিনে লজ্জায় মাথা নত হল ফুটবল ঐতিহ্যের।

[টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক তরুণ সিরাজের, টেস্টে ফিরছেন বিজয়]

যুবভারতীর বুকে যুব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ছিল ইংল্যান্ড-চিলির। কমপ্লিমেন্টরি টিকিটের চক্করে সেদিন গ্যালারির প্রায় অর্ধেকই ছিল দর্শক শূন্য। ফুটবলের মক্কা কলকাতায় যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু রবিবার দিল্লির ভিড়কেও ছাপিয়ে গেল যুবভারতী। রাজধানীতে ভারতের ম্যাচে ৫২ হাজার আসন ভরেছিল। ৬৬,৬১৩ জন দর্শক সাক্ষী থাকলেন এক ঐতিহাসিক ম্যাচের। যেখানে জার্মান দূর্গ ধ্বংস করে ২০১৪ বিশ্বকাপে দাদাদের হারের বদলা নিল ব্রাজিলীয় ভাইরা। আর গ্যালারিতে উঠল ‘ইয়োলো ওয়েভ’। সাম্বা ঝড়ের মধ্যে ফুটবলের প্রতি ভারতবাসীর স্পিরিট ফ্রেমবন্দি হল। কিন্তু একই সঙ্গে হতাশ করল আরেকটি ছবি।

Advertisement

[সাম্বা সেলিব্রেশনের দিন হারের জন্য রেফারিকে দায়ী করলেন জার্মান কোচ]

মুষ্টিমেয় কিছু দর্শকের জন্য মাথা হেঁট হল ফুটবলপ্রেমী তথা কলকাতার। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে গোল শোধের সময় দেখা যায় ব্রাজিল ফুটবলারদের উপর গ্যালারি থেকে এসে পড়ছে জলের পাউচ। যাতে নোংরা হয়েছে সাজানো পরিষ্কার মাঠ। ম্যাচ শেষে আটজন দর্শককে পাউচ ছোড়ার অভিযোগে আটকও করে পুলিশ৷ আবার যাতে এ ঘটনা না ঘটে তার জন্য কড়া হচ্ছে ফিফা৷ যদিও তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি খুদেরা। এখানেই শেষ নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্যালারির চেয়ার ভাঙা। ডার্বিতে এ ছবি হামেশাই চোখে পড়ে। গ্যালারি ভাঙচুর, আগুন, ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার ঘটনার বহুবার সাক্ষী থেকেছে এই যুবভারতী। ইস্ট-মোহন সমর্থকদের কাছে এ আর এমন কী বড় ব্যাপার! তাই বলে বিশ্বকাপেও! সত্যিই, কিছু মানুষের অভ্যেস বদলায় না। যাঁদের কাছে ঘরোয়া লিগ আর ঐতিহ্যপূর্ণ বিশ্বকাপের মঞ্চের কোনও পার্থক্য নেই। এঁরা কি সত্যিই ফুটবলপ্রেমী? হয়তো না। আর তার জন্যই ভয় পাচ্ছে যুবভারতী স্বয়ং। কারণ সে ভালই বুঝতে পারছে, বিশ্বকাপ শেষ হলেই তার সমস্ত মেক-আপ ধুয়ে যাবে। নিজেদের উপস্থিতি বেশ দাপটের সঙ্গেই জানান দেবে ‘সমর্থক’-এর মুখোশ পরে থাকা ব্যক্তিরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ