Advertisement
Advertisement

দিল্লিতে যুব বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার দর্শকরা

একাধিক অভিযোগে জর্জরিত রাজধানীর স্টেডিয়াম।

FIFA, AIFF banned list leaves fans baffled at Jawaharlal Nehru Stadium
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 7, 2017 3:49 pm
  • Updated:September 27, 2019 2:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার বিশ্ব ফুটবলের মহাযজ্ঞের সাক্ষী থাকছে ভারত। তাই নিরাপত্তাও আঁটসাট। যে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে সদা সতর্ক আয়োজকরা। অতি সতর্ক হওয়ার জন্য অবশ্য চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হতে হল দর্শকদের।

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, স্টেডিয়ামে ঢোকা যাবে না জলের বোতল, খাবার-দাবার নিয়ে। ফলে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে প্রবেশ পথেই দর্শকদের কাছ থেকে জলের বোতল, শুকনো খাবার নিয়ে নেওয়া হয়। বলা হয়, স্টেডিয়ামের মধ্যেই জলের পাউচ কিনতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু স্টেডিয়ামে ঢোকার পর দেখা গেল অন্য ছবি। কোথায় জলের পাউচ! এমন কোনও স্টলই নেই ভিতরে। পানীয় জলের অভাবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন দর্শকরা। শুক্রবার গ্যালারি ভরিয়েছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে। যুব বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ইতিমধ্যেই দিল্লির দিকে আঙুল উঠেছে। নিরাপত্তা থেকে সাজসজ্জা, সবেতেই কলকাতা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রাজধানী। অথচ সেখানেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি খেলবে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের দেশকে সমর্থন জানানোর ভিড় বেশি হবে।

Advertisement

[আম্পায়ারিং করার সময় বুকে বল লেগে মৃত্যু কিশোরের]

শুক্রবারের ঘটনা ফের কাঠগড়ায় তুলল দিল্লিকে। এআইএফএফ এবং ফিফাকেই এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। তাদের তরফে জানানো হয়, নিরাপত্তার কারণে স্টেডিয়ামে জলের বোতল আনতে দেরি হয়। ইউএসএ-এর বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ শুরু হয়ে যাওয়ার পর খোলে ক্যান্টিন। অথচ ২৪ হাজারেরও বেশি দর্শক বিকেল ৫ টার আগেই স্টেডিয়াম চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন। শুধু পানীয় জলই নয়, ভাঙা চেয়ার থেকে অপরিচ্ছন্ন শৌচালয় নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অথচ ম্যাচ শুরুর আগের দিনই ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর এবং সাই-এর ডিরেক্টর জেনারেল ইনজেতি শ্রীনিবাস স্টেডিয়াম ঘুরে দেখে যান। তারপরও এমন অব্যবস্থায় বিরক্ত দর্শকরা। এক ফুটবলপ্রেমী জানান, “দু’ঘণ্টা গ্যালারিতে বসে থাকার পরও পানীয় জল পাইনি। স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে জলের বোতল কিনে আনতে হয়। এত বড় টুর্নামেন্টে এমন অব্যবস্থা দেখে সত্যিই অবাক হচ্ছি। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে ফিফার তরফে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি।

Advertisement

[কলকাতায় বিশ্বকাপ ম্যানিয়া, রবিবারের জন্য প্রস্তুত যুবভারতী]

যুব বিশ্বকাপের উদ্বোধনের দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া সম্মান থেকে শুরুতে বঞ্চিত হয়েছিলেন মেলবোর্ন ওলিম্পিক অধিনায়ক বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলকিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। বাংলার গোলকিপারের সঙ্গে যা হল, তাকে সাংগঠনিক ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। পিকে, নইমের পর স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ঘোষক চারু শর্মা ডাকলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। কিন্তু তাঁর বদলে অন্য একজন এসে মোদির হাত থেকে সম্মান নিয়ে চলে যান। তিনি ’৭৪ এশিয়ান গেমসে ভারতের অধিনায়ক মগন সিং। হাফ টাইমের পর অবশ্য সেই ভুল সংশোধন করে নেওয়া হয়। সম্মান জানানো হয় বদ্রু, ভাস্করকে। সংবর্ধনা মঞ্চে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার পর দর্শকদের সমস্যায় পড়া নিঃসন্দেহে ফুটবলের আয়োজক হিসেবে অনেকখানি নিচে নামিয়ে দিল রাজধানীকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ