Advertisement
Advertisement

Breaking News

ISL 10

মোহনবাগানের বড় ফ্যাক্টর জনি, ডার্বিতে পিছিয়ে নেই ইস্টবেঙ্গলও, বলছেন ব্যারেটো

পেত্রাতোসদের আলোয় ফেরানোই প্রথম কাজ ছিল হাবাসের। আর সেই কাজটা দারুণভাবেই করেছেন তিনি। বলছেন বাগানের প্রাক্তনী।

ISL 10: Mohun Bagan slightly ahead of East Bengal

ডার্বির আগে অনুশীলনে গা ঘামাচ্ছেন সবুজ-মেরুন বাহিনী। ছবি: সায়ন্তন ঘোষ

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 10, 2024 12:13 pm
  • Updated:March 10, 2024 12:13 pm

জোসে ব্যারেটো: আমি সবসময়ই বলি, ডার্বি আলাদা লড়াই। এই ম্যাচে কোনও ক্লাবকেই এগিয়ে রাখা যায় না। এই যেমন রবিবারের ম্যাচটার কথাই ধরুন। ম্যাচটা জিতলে মোহনবাগান (Mohun Bagan) আইএসএলে লিগ শিল্ড জেতার আরও কাছে পৌঁছে যাবে। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) জিতলে প্রথম ছয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে। শেষ কয়েকটা ম্যাচে পারফরম্যান্সের বিচারে হয়তো বলতেই হবে, মোহনবাগান কিছুটা এগিয়ে। কিন্তু সেই এগিয়ে থাকাটা একেবারেই নিরঙ্কুশ নয়। বরং জয়ের অদম্য ইচ্ছা থেকে ম্যাচটা জিতে নিতেই পারে ইস্টবেঙ্গল।

তবে আরও একটা কথা বলতে হবে। আইএসএলের (ISL) শেষ সাক্ষাতের পর দু’টো দলই বেশ বদলে গিয়েছে। মোহনবাগানের কোচের পদে আন্তোনিও লোপেজ (Antonio Lopez Habas) হাবাসের তখন সদ্য প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। আমি তখনই বলেছিলাম, হাবাসের প্রধান কাজ হবে ফুটবলারদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা করা। কারণ এএফসি কাপের (AFC) বিদায়, আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক, সুপার কাপের বিপর্যয়ে তখন বেশ চাপেই ছিল মোহনবাগান ফুটবলাররা। সেই আঁধার থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোসদের আলোয় ফেরানোই প্রথম কাজ ছিল হাবাসের। আর সেই কাজটা দারুণভাবেই করেছেন তিনি। সেটা শেষ কয়েকটা ম্যাচে মোহনবাগানের পারফরম্যান্স, ফুটবলারদের শরীরীভাষা দেখলেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিনের চিন্তা বাড়িয়ে সেলা টানেল উদ্বোধন মোদির, অরুণাচলে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ ভারতের]

আগের মতো গুটিয়ে নেই ওরা। সঙ্গে আরও একটা ফ্যাক্টর কাজ করেছে মোহনবাগানের এই বদলের পিছনে। জনি কাউকো (Joni Kauko)। মাঠে ওর উপস্থিতিটাই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট। সারা মাঠ জুড়ে খেলে, আক্রমণ থেকে রক্ষণ– সর্বত্র কাউকোর উপস্থিতি দেখা যায়। সেটা আমরা সবাই দেখি। কিন্তু মাঠের বাইরে, ড্রেসিংরুমে ওর উপস্থিতির প্রভাব কতটা, সেটা সাধারণ সমর্থকরা দেখতে পান না। কিন্তু মোহনবাগানের এই বদলের পিছনে সেই উপস্থিতি একটা ফ্যাক্টর। কারণ কাউকো এমন একজন নেতা, যে সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। আর ফুটবলাররা সেটা হয়েওছে।

Advertisement

[আরও পডু়ন: ‘ব্রিগেডে না গেলে দল ব্যবস্থা নেবে’, বুথকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে মানস ভুঁইঞা]

আইএসএলে লিগ শিল্ড জয়ের লক্ষ্যে খেলছে মোহনবাগান, সেটা হাবাস আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। ফলে ডার্বির আগে ফুটবলারদের মধ্যে সেটা নিয়ে নতুন করে আলোচনা হবে না বলেই আমি মনে করি। ওরা আর পাঁচটা ম্যাচের মতো করেই রবিবারের ম্যাচটা দেখবে। তাই এটা নিয়ে বেশি কথা বলার মানে নেই। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে বলব, ওরা জানে জিততে পারলে লিগ টেবলে উঠে আসার সুযোগ পাবে। তাছাড়া ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভার মতো ম্যাচ উইনার আছে। ওর সঙ্গে মহেশ সিংয়ের জুটিটা যে কোনও প্রতিপক্ষের জন্য চিন্তার। তাই ম্যাচে সতর্ক না থাকলে ভুগতে হতে পারে মোহনবাগানকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ