Advertisement
Advertisement

Breaking News

East Bengal

ফের জঘন্য পরাজয়, এফসি গোয়ার কাছে হেরে আরও অন্ধকারে ইস্টবেঙ্গল

দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ৭ মিনিটে দু'টি গোল শোধ করলেও ম্যাচের ফলাফল পালটাতে পারেনি লাল-হলুদ।

ISL 2022: FC Goa beats East Bengal। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 26, 2023 9:29 pm
  • Updated:January 26, 2023 11:04 pm

এফসি গোয়া   ইস্টবেঙ্গল-২

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের আগেই মিলেছিল সুখবর। ইস্টবেঙ্গলের উপর থেকে ট্রান্সফার ব্যান তুলে নেবার কথা জানিয়ে দিয়েছিল ফিফা (FIFA)। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টিকল না। এফসি গোয়ার কাছে হারতে হল লাল-হলুদকে। জারি রইল ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে লড়াইয়ে ফেরে ইস্টবেঙ্গল, সেটুকুই সমর্থকদের সান্ত্বনা। 

Advertisement

এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যান ইকের। খেলার বয়স তখন ১১ মিনিট। মিনিট দশেকের মধ্যে অর্থাৎ ২১ মিনিটে ফের গোল। আবার ইকের। দু’মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান ৩-০ করেন সেই ইকেরই। খেলা শুরুর পর এত অল্প সময়ের মধ্যেই অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিক করে ফেলেন তিনি। এরপরই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল কোন দিকে গড়াবে। প্রথমার্ধে অবশ্য আর গোল হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ৫৩ মিনিটে গোল করে যান ব্র্যান্ডন। ফলাফল দাঁড়ায় ৪-০।

Advertisement

ইদানীং ইস্টবেঙ্গলের খেলার বৈশিষ্ট্যই হয়ে দাঁড়াচ্ছিল, শুরুতে ভাল খেলেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়া। সেই তুলনায় এদিন পরপর গোল খেয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর মুহূর্তের জন্য জ্বলে ওঠে লাল-হলুদ। ৫৯ মিনিটে সুহেরের হেডে গোলের মুখ দেখে ইস্টবেঙ্গল। একটি চমৎকার ক্রস থেকে করা তাঁর গোলটি দৃষ্টিনন্দন। ৬৬ মিনিটে ফের গোল করে লাল-হলুদ। সার্থক গোলুইয়ের গোলে মাত্র ৭ মিনিটেই ব্যবধান ৪-০ থেকে ৪-২ হয়ে যায়। এরপর অবশ্য আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি। 

[আরও পড়ুন: ‘শীঘ্রই আসছে শোলে ২’, হার্দিকের সঙ্গে জুটিতে ধোনি! ছবি দেখে হইচই নেটদুনিয়ায়]

খেলার শুরু থেকেই এফসি গোয়া ঝোড়ো আক্রমণে দিশাহারা করে দেয় লাল-হলুদ ডিফেন্স। পরপর পরাজয়ে মুষড়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল ইকের, নোয়া-সহ গোটা গোয়া দলের সামনে যেন কার্যতই আত্মসমর্পণ করে। ২৩ মিনিটের মধ্যে ৩-০ হয়ে যাওয়ায় আর যেন কিছুই করার ছিল না। সেই অর্থে প্রতিপক্ষের বক্সে কোনও সুযোগই যেন তৈরি হয়নি প্রথমার্ধে। যেটুকু হচ্ছিল তা কার্যতই হাফ চান্স। কিন্তু সেই হাফ চান্সকে ‘ক্লিনিক্যাল’ দক্ষতায় কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভাল খেলে লাল-হলুদ। এমনকী ৯০ মিনিটে আরও একবার গোলের মুখ খোলার সুযোগও এসেছিল। সেক্ষেত্রে ব্যবধান আরও কমতে পারত।

১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। ট্রান্সফার ব্যানের ধাক্কায় জার্ভিসকে সই করাতে না পেরে লাল-হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন নিজের হতাশা গোপন করেননি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমরা গোল করার জন্য ক্লেটন সিলভার উপর বাড়তি নির্ভর হয়ে পড়ছি। ওকে সাহায্য করার জন্যই আরেকজনকে সই করানোর চেষ্টা করেছি।” সেই অস্বস্তি কেটেছে। কার্যতই জার্ভিসকে সই করানো এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দলের যা পরিস্থিতি, তাতে একজন জার্ভিস কি এই অবস্থায় হারানো মনোবল ফেরাতে পারবেন লাল-হলুদে? এই প্রতিযোগিতার অবশিষ্ট ম্যাচগুলি থেকে আদৌ কি আর পয়েন্ট তোলা সম্ভব হবে? বৃহস্পতিবাসরীয় ম্যাচের শেষে আপাতত সেই সব প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন সমর্থকরা। 

[আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে দেবে ভিশন ২০৪৭, যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস এএফসির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ