প্রসূন বিশ্বাস: মরশুমের মাঝপথে আচমকাই যেন বজ্রপাত হয়েছে মহামেডান তাঁবুতে। সবে ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল দল, এরই মধ্যে স্পনসর সমস্যায় একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়ে গেল সাদা-কালো শিবিরে। শ্রাচী স্পোর্টস এবং বাঙ্কারহিল, মহামেডানের দুই স্পনসরই এদিন জানিয়ে দিল দ্রুত শেয়ার ট্রান্সফার না করা হলে আর বিনিয়োগ করা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। সমস্যা সমাধানে এদিন দুই স্পনসরের কর্তাদের সঙ্গেই বৈঠকে করলেন মহামেডান কর্তারা।
মঙ্গলবার সকালে প্রথম পত্রবোমাটি আসে শ্রাচীর তরফে। শ্রাচীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ক্লাবকর্তারা প্রতিশ্রুতি না রাখায় তারা বিনিয়োগ করতে অপারগ। আপাতত ক্লাবে তাদের বিনিয়োগ স্থগিত। কারণ ক্লাবের সঙ্গে ‘মউ’য়ের মেয়াদ ফুরিয়েছে। তাছাড়া প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও শ্রাচীকে কোনও শেয়ার দেওয়া হয়নি।
বিকালে একই রকম একটি চিঠি দেওয়া হয় বাঙ্কারহিলের তরফে। বাঙ্কারহিল জানায়, মহামেডানের উন্নতিতে বরাবর সহযোগিতা করে এসেছে তারা। আই লিগ টু থেকে আই লিগ হয়ে ক্লাবকে আইএসএলে তোলার নেপথ্যে তাদের অবদানের কথা চিঠিতে তুলে ধরা হয় বাঙ্কারহিলের তরফে। এমনকী চুক্তির বাইরে গিয়েও যে তারা মহামেডানের জন্য খরচ করেছে সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এত কিছু সত্ত্বেও ক্লাব কর্তারা প্রতিশ্রুতিমতো শেয়ার ছাড়তে নারাজ।
দুই স্পনসরের পত্রবোমা পাওয়ার পর ক্লাব তাঁবুতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন মহামেডান কর্তারা। বাঙ্কারহিলের দীপক কুমার সিং ছিলেন বৈঠকে। শ্রাচীর তরফে রাহুল টোডি ছিলেন জুম কলে। একপ্রকার বাধ্য হয়ে মহামেডান কর্তারা জানান, তাঁরা শেয়ার ট্রান্সফারের কাজটা শুরু করেছেন। ক্লাবের ৬১ শতাংশ অংশীদারিত্ব তাঁরা বাঙ্কারহিল এবং শ্রাচীকে দিয়ে দিতে রাজি। বাঙ্কারহিল কর্তারা জানান, পুরো ৬১ শতাংশ দিয়ে দেওয়া হোক বাঙ্কারহিলকে। শ্রাচীর সঙ্গে শেয়ারের ব্যাপারটা তাঁরা বুঝে নেবেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে শ্রাচীও। ক্লাবের ৬১% শেয়ার বাঙ্কারহিল পাবে, আর সেখান থেকে ৩০.৫% শ্রাচী পাবে। কিন্তু সমস্যা হল এই শেয়ার ট্রান্সফারের প্রক্রিয়াটাও দিন পনেরো সময় নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ক্লাব চলবে কীভাবে? সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.