Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্টবেঙ্গলে খালিদের ভবিষ্যৎ কী, ঠিক করতে আজ বৈঠক ক্লাবে

খালিদের আচার-আচরণ, ক্লাবের পরিবেশের সঙ্গে কোনওমতেই খাপ খায় না।

Khalid Jamil’s future as East Bengal coach uncertain!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 9, 2018 4:42 pm
  • Updated:September 13, 2019 1:33 pm

স্টাফ রিপোর্টার: খালিদ জামিল কি মরশুমের শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে থাকবেন? এটাই এখন ময়দানের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সকলেই মনে করছেন, খালিদ জমানা সম্ভবত শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে গতকাল নেরোকার সঙ্গে ড্র করার পর কর্তা থেকে সমর্থকরা পর্যন্ত কেউই তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। ফলে ধরে নেওয়া যায়, খালিদ জমানার ইতি ঘটে গিয়েছে। আজ বিকেলে ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে দেখা করতে টেন্টে আসছেন স্বয়ং খালিদ। তাঁর বক্তব্য শোনার পরই সম্ভবত ঠিক হবে খালিদ আদৌ মরশুমের শেষ পর্যন্ত থাকবেন কি না। তবে, পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিতে শুরু করেছে, তাতে ধরে নেওয়া যায়, খালিদ শেষ পর্যন্ত হয়তো থেকেই যাবেন। আসলে সামনে পড়ে আছে মাত্র একটা টুর্নামেন্ট। তা হল সুপার কাপ। এই সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হবে তা অতি কট্টর সমর্থকও আশা করেন না। ফলে এই ক’দিনের জন্য কোচ বদল করা কতটা যুক্তিসংগত হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। ফলে খালিদের বিদায় আসন্ন তাও বলা যাচ্ছে না। তবে এটা ঠিক কর্মকর্তা থেকে সমর্থক- প্রতে্যকেরই তিনি আস্থা হারিয়েছেন। তা-ই খালিদের অপসারণ ঘটলেও মনে হয় না কেউ বিচলিত হবেন। যা-ই হোক না কেন, আজ খালিদ কর্তাদের কাছে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করার পর ঠিক হবে তাঁর ভাগ্য।

[যুবভারতীতে ফের ‘গো-ব্যাক খালিদ’ স্লোগান, ড্র করে হতাশ মোহনবাগান কোচও]

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লাবের এক অন্যতম শীর্ষ কর্তা বলছিলেন, “আমরা শুনতে চাইছি খালিদের অভিমত কী? যদি ও নিজে থেকে সরে যেতে চায়– তাহলে আমাদের কিছুই বলার থাকবে না। আর যদি থেকে গিয়ে সুপার কাপ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করা, তাহলে আমরা ব্যাপারটা নিয়ে অবশ্যই ভেবে দেখব। তখন হয়তো ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে খালিদের ভাগ্য নির্ধারিত করতে হতে পারে। যা-ই হোক না কেন, আজ তাঁর মুখে সবকিছু শোনার পর হয়তো আমরা বিষয়টা তুলে ধরব সচিব কল্যাণ মজুমদারের সামনে। তিনি যে নির্দেশ দেবেন, তাই আমরা মেনে চলব।” আসলে খালিদের আচার-আচরণ, ক্লাবের পরিবেশের সঙ্গে কোনওমতেই খাপ খায় না। ফলে, তাঁকে নিয়ে ক্লাবের অন্দরমহলে বিস্তর গন্ডগোল। প্রকাশ্যে যেমন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন, পাশাপাশি সমর্থকরাও মুম্বইবাসীর উপর প্রচণ্ড বিরক্ত। তাই যদি তাঁকে রেখে দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো ক্লাবের মধ্যে সমস্যা হলেও হতে পারে।

Advertisement
[ইস্ট-মোহনের স্বপ্নভঙ্গ, প্রথমবার আই লিগ জিতে ইতিহাস মিনার্ভার]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ