Advertisement
Advertisement

বিবাহে বিলম্ব ‘ফুটবলপ্রেমী’ পাত্রের, পিঁড়িতে বসে ফুঁসলেন পাত্রী

সোশ্যাল মিডিয়ায় মন জয় করে নিয়েছে তাঁর ফুটবলপ্রেম।

Man delayed in marriage for football
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 26, 2019 10:37 am
  • Updated:January 26, 2019 10:37 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল হোক বা মোহনবাগান। কিম্বা ব্রাজিল-আর্জেনটিনা। বাঙালি চিরকালই ফুটবল পাগল। তবে আরও এক রাজ্য আছে, যারা ফুটবল প্রেমে বাঙালিদের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। কেরালার ফুটবলপ্রেমও চিরকালীন। এই রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরেও উঠে এসেছেন অনেক কৃতী ফুটবলার। এবার অভিনব নজির তৈরি করল কেরালা। ফুটবল খেলার জন্য বিয়ের পিঁড়িতে হবু স্ত্রীকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করালেন এক যুবক। টিমকে জিতিয়ে তারপরই হাজির বিয়ের আসরে। এই ঘটনা টুইট করে শেয়ার করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। জানালেন, এমন ক্রীড়াপ্রেমীর সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তবে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অপেক্ষা করে করে পাত্রী কিন্তু রেগে লাল। তবে তাঁর ফুটবলপ্রেমও সোশ্যাল মিডিয়ার মন জয় করে নিয়েছে।

কেরালার সেভেন এস ফুটবল খুবই জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। ১১ জনের বদলে এই টুর্নামেন্টে প্রত্যেক দলে থাকে সাতজন ফুটবলার। অন্যান্য সব নিয়ম যদিও একই। এই টুর্নামেন্টেই খেলেন রিদবান। বিয়ে ঠিক হয়েছে তাঁর। আর বিয়ের দিনেই পড়েছে ম্যাচ। ফুটবল পাগল রিদবানের কাছে আর কোনও বিকল্পই ছিল না, ম্যাচ খেলা ছাড়া। তাই বিয়ের দিন হবু স্ত্রীর থেকে পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবে এই সিদ্ধান্তে রেগেও গেলেন পাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হবু স্ত্রী রিদবানের কাছে জানতে চান, ‘দুপুরে ম্যাচ পড়লে তুমি কি বিয়ে বাতিল করে ফুটবল খেলতে যেতে?’ তবে সেসব নিয়ে মাথা ঘামাননি রিদবান। টিমের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, টিমকে জিতিয়ে তবেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করে নিয়েছিলেন। তাঁর এই ফুটবল প্রেমই মন জিতে নিয়েছে।

Advertisement

[ডার্বি দেখবে অনাথ শিশুরাও, অভিনব উদ্যোগ মোহনবাগানের]

ফুটবলপ্রেম নিয়ে এই বাংলায় হাজারও উদাহরণ আছে। বাবার শেষকৃত্য করে ক্লাবের জার্সি পরে নেমে পড়েছেন ফুটবলার। অথবা দিনের পর দিন পারিশ্রমিক না পেয়েও ভালবাসার টানে অনেকে খেলে গিয়েছেন ফুটবল। ফুটবল পাগল অনুরাগীদের কথাও অজানা নয়। আবেগ এতটাই মারাত্মক, যে ফুটবলের জন্য আত্মহত্যা করতেও পিছপা হননি মোহনবাগান সমর্থক উমাকান্ত পালধি। তবে হবু স্ত্রীকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে এভাবে ফুটবল খেলতে যাওয়া এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত। শুধু তাই নয়, পাত্রীকে রিদবান নাকি ফোনে বলেন, “পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত চাই। ম্যাচ শেষ করেই বিয়ে করতে আসছি।” হবু পাত্রী এতে যারপরনাই অবাক। বিয়ের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে কীভাবে একজন ফুটবল খেলতে পারে! এটাই হয়তো ভাবছিলেন পাত্রী ও তাঁদের পরিবার। কিন্তু ফুটবলপ্রেম তো এমনই। রিদবানের কাছে কোনও উত্তর নেই। কোনও প্রশ্নের জবাব বা অজুহাত তিনি দিতে পারবেন না। দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী এভাবে তাঁদের বিয়ের কথা জানিয়ে, টুইট করে, দেখা করতে চেয়েছেন। অন্তত বিয়ের পর ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে একটা সেলফি তুলতেই পারেন রিদবানের স্ত্রী।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ