Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্ট-মোহনের স্বপ্নভঙ্গ, প্রথমবার আই লিগ জিতে ইতিহাস মিনার্ভার

তিন ম্যাচই বুঝিয়ে দিল, অর্থ নয়, জয় হোক ফুটবলের।

Minerva Punjab registers maiden I League victory
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 8, 2018 5:02 pm
  • Updated:September 13, 2019 3:05 pm

মিনার্ভা: ১ (ওপোকু) চার্চিল: ০
গোকুলাম: ১ (কিসেকো) মোহনবাগান: ১ (ডিকা)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (ডুডু) নেরোকা: ১ (চিডি)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাতা-কলমে প্রচুর হিসেব-নিকেশ করা হয়েছিল। যাতে আই লিগের চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে সাসপেন্স তৈরি হয়েছিল পুরোদস্তুর। ম্যাচ চলাকালীন ফুটবলপ্রেমীদের অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সবটাই যেন ছিল ইলিউশন। কারণ মিনার্ভার জন্যই যে কাজটা সবচেয়ে সহজ ছিল, সেটা বেশ ভালই আন্দাজ করেছিলেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। অবনমনের কবলে পড়া চার্চিলকে পরাস্ত করে প্রথমবারের জন্য আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল মিনার্ভা। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-নেরোকার ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ করে ইতিহাস গড়ল রঞ্জিত বাজাজের দল। এদিকে, প্রথমবারের জন্য রানার্স-আপ হল নেরোকা।

Advertisement

প্রথম ম্যাচ থেকেই নজর কেড়েছিল আই লিগে সদ্য পা রাখা পাঞ্জাবের দলটি। টুর্নামেন্টের বেশিটা সময়ই লিগ তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছিল তারা। তবে কথায় বলে সব ভাল যার শেষ ভাল। আর মধুরেন সমাপয়েতই হল। আনন্দে উচ্ছ্বসিত মালিক রঞ্জিত বাজাজ। ফুটবলারদের জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কার অর্থ ঘোষণা করেছেন তিনি।

Advertisement

অ্যাওয়ে মাঠগুলোই যেন মোবনবাগানের কাছে পয়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাইরের মাঠেই টানা অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ফিরেছিলেন শংকরলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা। কিন্তু কোঝিকোড়ের তীব্র গরমে যেন কাহিল হয়ে পড়লেন আক্রম-ডিকারা। ফলে দু’দলেরই খেলার গতি কমে গিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে। তার উপর মাঠের শোচনীয় অবস্থা। যেখানে ডিফেন্ডার ডিফেন্স করতে গিয়ে পড়েই যাচ্ছেন বারবার। তাই ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই ছিমিয়ে পড়েছিলেন ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে ডিকার হেড গোলপোস্টে ঢুকে গেলে ম্যাচের রংই বদলে যেত। কিন্তু হল না। আর গোকুমালের এদিন হারানোর কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট পেতে শেষ পর্যন্ত লড়াই জারি রেখেছিল তারা। গত সাক্ষাতের মতো ফিরতি ম্যাচে জয় না এলেও বাগানকে রুখে দিয়ে বুঝিয়ে দিল, তারা লম্বা রেসের ঘোড়া। লিগ শেষে তিনেই রইল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

তবে শেষ ম্যাচেও খালিদ জামিলের ছেলেরা এমন ছন্নছাড়া ফুটবল খেলবেন, তা হয়তো কেউই আশা করেনি। একে ঘরের মাঠ, তার উপর চোদ্দ বছরের খরা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শেষ সুযোগ। তাতেও জ্বলে উঠতে পারলেন না কাটসুমি-আমনারা। আসলে গত ম্যাচে লাজংয়ের কাছে আটকে যাওয়াটাই সব আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিয়েছিল তাঁদের। তার উপর মাঠের বাইরের লড়াই তো চলছিল। মিনার্ভা গড়াপেটার অভিযোগ তুলেছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল কাদা ছোড়াছুড়ি। সে প্রভাবও হয়তো কোথাও গিয়ে খেলায় পড়ল।

কিন্তু একটা কথা মেনে নিচ্ছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও। গত দশ বছরে আই লিগে এমন ক্লাইম্যাক্স হয়নি। যেখানে শেষ ম্যাচে চূড়ান্ত হয় চার দলের মধ্যে কে হবে চ্যাম্পিয়ন। তাই চাপে ছিল প্রতিটি দল, প্রতিটি কোচ এবং অবশ্যই ফুটবলাররা। স্নায়ুর চাপ ধরে রাখাই এখানে কঠিন। তাই চ্যাম্পিয়নের শিরোপা যেই পাক না কেন, এক টুর্নামেন্টের দুর্দান্ত ফাইনাল শো দেখলেন ফুটবলপ্রেমীরা। এই তিন ম্যাচই বুঝিয়ে দিল, অর্থ নয়, জয় হোক ফুটবলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ