সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএল দ্বিমুকুট জয়ের আনন্দে মশগুল মোহনবাগান সমর্থকরা। এর মধ্যে তাঁদের জন্য আরেক প্রস্থ খুশির বাতাস নিয়ে এলেন সবুজ-মেরুনের যুবরাও। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৩-০ গোলে জিতলেন আমনদীপরা। পাসাং দোরজি তামাংয়ের হ্যাটট্রিকে কার্যত নাস্তানাবুদ হল ক্লাসিক এফএ।
জামশেদপুরকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল মণিপুরের ক্লাসিক ফুটবল অ্যাকাডেমি। তারা আবার সেমিতে হারিয়েছিল এফসি গোয়াকে। কিন্তু ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কার্যত আত্মসমর্পণ করল তারা। ম্যাচের ৮ মিনিটে সবুজ-মেরুন বাহিনীকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তামাং। মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন লিওয়ান। সেখান থেকে প্রায় একক দক্ষতায় ক্লাসিকের বক্স পর্যন্ত পোঁছে যান সন্দীপ। বাকিটা তামাংয়ের ম্যাজিক। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাঁকানো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন তামাং। সম্ভবত খেয়াল করেছিলেন যে, ক্লাসিক গোলকিপার ডানদিকে অনেকটা সরে এসেছিলেন। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মোহনবাগানের ফুটবলার।
দ্বিতীয় গোলটি এল ম্যাচের ২২ মিনিটে। এবার ক্রস এল মাঠের বাঁদিক থেকে। ক্লাসিকের ডিফেন্ডারদের ভুলে তা চলে আসে তামাংয়ের পায়ে। আগের গোলটি ছিল বাঁদিকের পোস্টে। এবার গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দিলেন। সাইড লাইনে খুব একটা উচ্ছ্বাস না দেখালেও কোচ ডেগি কার্ডোজো বোধহয় বুঝতে পেরেছিলেন, ম্যাচ ততক্ষণে একপ্রকার হাতের মুঠোয়।
পালটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ক্লাসিকও। কিন্তু আমনদীপদের দেওয়াল টপকাতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। আর তৃতীয় গোলটি এল ম্যাচের ৫২ মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে আসা ক্রস পাওয়ার জন্য যেন শিকারী বাঘের মতো অপেক্ষা করছিলেন তামাং। ক্লাসিক ডিফেন্ডারদের একটা ভুল। আর হ্যাটট্রিক করে গেলেন শিলিগুড়ির ১৮ বছর বয়সি উইঙ্গার। গোটা ম্যাচে ৫২ শতাংশ বলের দখল ছিল মোহনবাগানের দখলে। গোলমুখে শটেও এগিয়ে ছিল তারা। আর ‘আরামসে’ চ্যাম্পিয়নও হল সবুজ-মেরুনের যুবরা।
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.