Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্বাচনের আগেই টুটু-অঞ্জনের মধ্যে সৌহার্দ্যের বার্তা

সমঝোতা নয়, বন্ধুত্বের জয়!

Mohun Bagan Election: Friendship wins, Says both Tutu Bose, Anjan Mitra
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 4, 2018 8:43 pm
  • Updated:October 4, 2018 8:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুরেণ সমাপয়েতের পথে মোহনবাগান নির্বাচন। বুধবারই চমক দিয়েছিলেন অঞ্জন মিত্র। মোহনবাগানের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল ময়দানে। জল্পনার অবসান ঘটালেন মোহনবাগানের বিদায়ী সচিব নিজেই। বন্ধু অঞ্জনের বন্ধুত্বের খাতিরেই লড়াই থেকে সরে গিয়েছেন, জানালেন বিবৃতি দিয়ে। পালটা বিবৃতি এল টুটু বোসের কাছে থেকেও। তাঁর বিবৃতিতেও অকুণ্ঠ বন্ধুত্বের বার্তা। দীর্ঘদিন বাদে বন্ধু বিচ্ছেদের জেরে টুটু বোস এবং অঞ্জন মিত্র দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের সেই বিচ্ছেদ যে নেহাতই ক্ষণস্থায়ী, তা আবারও প্রমাণিত হল।

Advertisement

[বড় চমক, মোহনবাগান নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার অঞ্জন মিত্রের]

শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে অঞ্জন মিত্র জানান, কোনও সমঝোতা নয়, বন্ধুত্বের খাতিরেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। অভিন্নহৃদয় বন্ধুর সঙ্গে লড়ার মনঃকষ্ট তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না। মোহনবাগানের বিদায়ী সচিব বলেন, “আজকের প্রজন্ম হয়তো জানে না টুটু আর আমার সম্পর্ক কতটা গভীর। আমাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছিল, যেভাবে বলা হচ্ছিল টুটু শিবির, অঞ্জন শিবির, এটা নিতে পারছিলাম না। গোটা বিষয়টাই আমার কাছে দূর্বিষহ মনে হচ্ছিল। অব্যক্ত এই মনঃকষ্ট আমার পক্ষে আর নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। মোহনবাগান আমার কাছে ভীষণ প্রিয়, কিন্তু তাঁর থেকেও বেশি প্রিয় টুটু, আমাদের বন্ধুত্ব।”

Advertisement

[পুজোর পরই শহরে মেসি-মদ্রিচরা! লা লিগার ঘোষণায় জল্পনা]

বন্ধুত্বের যে সুর অঞ্জন মিত্র বেঁধে দিলেন সেই সুরেই গান গাইলেন বন্ধু টুটু বোসও। শৈশব থেকে যৌবন-নিজেদের বন্ধুত্বের স্মৃতি রোমন্থন করে তুলে আনলেন মিষ্টি সম্পর্কের কাহিনী। নিজের বিবৃতির শুরুতেই মোহনবাগান সমর্থকদের পাশাপাশি বন্ধু অঞ্জনকেও শুভেচ্ছা জানান। অঞ্জনের মতোই টুটু বোসের বিবৃতিও আগাগোড়া আবেগমথিত। ক্লাবে নিয়মিত না যেতে পারার জন্য বন্ধুর সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাও স্বীকার করে নিয়েছেন মোহনবাগানের হবু সচিব। তিনি বলেন, “এজিএমের দিনটি ছিল আমার জীবনের সব থেকে কষ্টের দিন। হাত ছেড়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম দুই প্রান্তে। নেমে পড়েছিলাম নির্বাচনী লড়াইয়ে। বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দিয়ে শেষপর্যন্ত এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়াল অঞ্জন। প্রমাণ করল বন্ধুত্ব কত বড়। রক্তের সম্পর্কের থেকেও বড়। রক্তের সম্পর্কের থেকেও বড়। এর মধ্যে সমঝোতার গল্প খুঁজবেন না। তাতে বন্ধুত্বকেই ছোট করা হবে। আত্মসম্মানের প্রশ্নে সমঝোতা শব্দটি আমাদের দুজনের মধ্যেই নেই।” টুটু অঞ্জনের লড়াইয়ে ইতি পড়লেও, নির্বাচন কিন্তু হচ্ছে। আর সেকথা মাথায় রেখেই নিজের প্যানেলের প্রার্থীদের জেতাতে অনুরোধ করেছেন টুটু বোস। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ