স্টাফ রিপোর্টার : সরকারিভাবে আপত্তি জানানো চলছিল। খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে এবার সুবিচারের দাবি জানালেন মোহনবাগানের নতুন সচিব টুটু বসু।
মরশুমের শুরু থেকে খারাপ রেফারিংয়ের জন্য ভুগতে হয়েছে মোহনবাগানকে। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যার জেরে হারতে হয়েছে বাগানকে। দাবি, ন্যায্য পেনাল্টি থেকে সেদিন বঞ্চিত হয়েছেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। এছাড়া নিজেদের প্রথম গোলটি ইস্টবেঙ্গল অফসাইড থেকে করলেও পতাকা তোলেননি সহকারী রেফারি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বুধবারের মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি ম্যাচেও। মোহনবাগানের দাবি, ডিকার ন্যায্য গোল অফসাইডে বাতিল করেছেন রেফারি। ৫০ মিনিটে হেনরির শট মিনার্ভা বক্সে স্টপার আকাশদীপের হাতে লাগলেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। রেফারি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। দুটি ঘটনার পর মোহনবাগানের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার রেফারিং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠান ফেডারেশনে। নিয়ম মেনে এআইএফএফ সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে রেফারি ফিডব্যাক ফর্মে নিজেদের অসন্তোষের কথাও জানান। তবে দিনের পর দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়ে চলায় আসরে নামলেন মোহনবাগান সচিব টুটু বোস।
[ ডার্বির রেফারিংয়ে দোষ প্রমাণ হলে ‘ফ্রিজ’ হতে পারেন রেফারি ভেঙ্কটেশ]
ফেডারেশন সভাপতিকে চিঠিতে বাগান সচিব জানিয়েছেন, “১৯৯০ থেকে ফুটবল প্রশাসক হিসাবে কাজ করছি। এই সময়ে ফেডারেশনের প্রভূত উন্নতি সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু রেফারিংয়ের মান দিনের পর দিন পড়ছে। সাম্প্রতিক সময় আমাদের বিরুদ্ধেই খারাপ রেফারিংয়ের প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। ১৬ ডিসেম্বর ডার্বি ও বুধবার মিনার্ভা ম্যাচে আমাদের বিরুদ্ধে খারাপ কিছু সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “আপনার সভাপতিত্বে ভারতীয় ফুটবল নতুন উচ্চতায় উঠেছে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে জাতীয় দলের উন্নতিই এর প্রমাণ। স্টার স্পোর্টসে খেলার সম্প্রচার হওয়ায় দেশের বাইরেও অনেকে আই লিগ দেখছেন। কিন্তু রেফারিং এমন হলে ভারতীয় ফুটবল এগোবে না। এদেশে ফুটবলের সত্যিকারের উন্নতি করতে প্রশাসক, ফুটবলার ও ম্যাচ অফিসিয়াল-সহ সব স্টেক হোল্ডারকেই নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে হবে। কোনও একজন ব্যর্থ হলে পুরো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।” চিঠির শেষে ভিএআর, গোললাইন টেকনোলজি-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে ফিরল দল। শুক্রবার দুপুরে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে শুরু হবে মোহনবাগানের প্রস্তুতি।