Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাটসুমি-সোনি যুগলবন্দিতে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু বধ মোহনবাগানের

এএফসি কাপে বেঙ্গালুরুর কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বাগান।

Mohunbagan thrashes Bengaluru FC in Home ground
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 1, 2017 3:50 pm
  • Updated:December 23, 2019 3:08 pm

মোহনবাগান- ৩ (কাটসুমি ২, ডাফি)

বেঙ্গালুরু এফসি- ০

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ লম্বা বিরতির পর ফের চেনা ছন্দে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পুরনো ফর্মে দেখা মিলল নেতা কাটসুমির। সোনি-কাটসুমি যুগলবন্দিতে ভর করে আই লিগে ফের জয়ের সরণিতে মোহনবাগান। শনিবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কাঙ্খিত জয় পেয়ে স্বস্তি ফিরে এল বাগান শিবিরে। এএফসি কাপে বেঙ্গালুরুর কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বাগান। এদিন ঘরের মাঠে প্রিয় দলের জয় দেখতেই এসেছিলেন বাগান সমর্থকরা। কোচ সঞ্জয় সেনও ম্যাচের আগে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছিলেন না। ক্রমাগত ড্র করে আই লিগ জয়ের রাস্তা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছিল মোহনবাগান। কিন্তু এদিন বেঙ্গালুরুকে ৩-০ ফলে বধ করে নিজেদের লিগ জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসাবে তুলে ধরল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগান। এই ম্যাচ জিতে ১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বাগান। এদিন মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল করেন কাটসুমি ইউসা এবং একটি ড্যারেল ডাফির। মোটের উপর দুটি গোল করে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিয়ে দিলেন কাটসুমি। এবং তিনটি গোলের ক্ষেত্রে প্লে-মেকারের ভূমিকা পালন করে হাইতিয়ান সোনি নর্ডি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি।

Advertisement

[জানেন, বিয়ের জন্য কীভাবে সাজছেন কুস্তিগির সাক্ষী?]

এদিন জয় ছাড়া কিছুই মাথায় ছিল না সঞ্জয় সেনের। তাই প্রায় পুরো টিমই নামিয়েছিলেন তিনি। বহুদিন পর চোট সারিয়ে প্রথম একাদশে খেললেন রাজু গায়কোয়াড়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আসা জেজেকে বিশ্রাম দিয়ে প্রথম থেকে ডাফি এবং আজহারউদ্দিন মল্লিককে খেলান। বলবন্তকে দ্বিতীয়ার্ধে নামান। কিন্তু শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সোনি। প্রথম গোল আসে ম্যাচের ১৪ মিনিটে। বক্সের বাইরে সোনির মাইনাস থেকে মাটি ঘেষা শটে গোল করেন কাটসুমি। বেঙ্গালুরু গোলকিপার অমরিন্দর হাত দিয়ে শট ঠেকালেও তা যথেষ্ট ছিল না। যথারীতি বল জালে জড়িয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ২৫ মিনিটে আবার গোল বাগানের। আবারও নেপথ্যে সেই সোনি। ফ্রি-কিক থেকে বাঁকানো শটে মাথা ছুঁইয়ে বাগানের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডাফি। তিনিও ফের গোলের সরণিতে ফিরলেন।

[আসন্ন আইপিএল থেকে বাদ পড়লেন অশ্বিন-রাহুল]

দ্বিতীয়ার্ধ নিয়েই বেশি চিন্তা ছিল দর্শক থেকে কর্তা, সবার। কারণ, শেষ ম্যাচগুলির দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। প্রথমে এগিয়ে গিয়েও বিরতির পর বিশ্রী গোল হজম করে ড্র করেছে বাগান। কিন্তু এদিন সমালোচকদের চুপ করানোর দিন ছিল। বিশেষ করে সোনির জন্য। তিনি ভাল খেলেও ব্যারেটোর মতো হতে পারছেন না। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে বাগান সমর্থকদের এই কথাগুলিই মাথায় ঘুরছিল তাঁর। এদিন বাগানের তৃতীয় গোল সেই কথাই তুলে ধরল। প্রায় মোহনবাগানের বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে বেঙ্গালুরুর ফুটবলারদের কাটিয়ে উপরে উঠে কাটসুমির জন্য বাড়ালেন লাখ টাকার পাস। ৫৩ মিনিটের মাথায় সেই পাস থেকে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে গোল করলেন বাগান অধিনায়ক। ফের চেনা কাটসুমিকে ফিরে পেলেন বাগান সমর্থকরা। আর সোনির কৃতীত্ব অনস্বীকার্য। ম্যাচ জিতে তিন পয়েন্ট ঘরে নিয়ে আইজল-ইস্টবেঙ্গলের চিন্তা বাড়াল মোহনবাগান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ