স্টাফ রিপোর্টার: ঠিক ছিল, স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন হবে। তবুও লাল-হলুদ সমর্থকরা সকাল থেকে আশায় ছিলেন, বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের প্রিয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কবে থেকে ফুটবল খেলবে, জানতে পারবেন। অথবা ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে সামান্য হলেও রেখাপাত করবেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু কোথায় কী! বাড়ি তৈরি, রেস্তরাঁ খোলা, স্যানিটাইজার, মাস্ক বিক্রি- এসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে তাঁবু জুড়ে।
শুধু ফের কবে মাঠে বল গড়াবে, কোন লিগে ক্লাব খেলবে, ক্লাবের ভবিষ্যৎ ইনভেস্টর কিংবা স্পনসর কে, এসব নিয়েই কোনও আলোচনা হচ্ছে না। ফলে সমর্থকদের মধ্যে বাড়ল হতাশাই। তবে এদিন ক্লাব তাঁবুতে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর উপস্থিতিতে ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, “বহুদিন থেকেই ইস্টবেঙ্গল শুধু খেলাধুলো নয়, সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজেও জড়িত রয়েছে। করোনা আবহেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।” ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজ্য সরকারের তরফে ত্রাণ দিতে গিয়ে আমরা দেখেছি, ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকেও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে গড়াপেটা আমার সন্দেহমাত্র’, চাপে পড়ে ডিগবাজি প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীর]
ক্লাবের তরফে লক্ষ্মীবারে জানানো হয়েছে, আপাতত প্রায় দেড় লক্ষ মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিনামূল্যে সদস্য–সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পাঠানো হবে রাজ্য ক্রীড়া দপ্তর এবং পৌর সংস্থার কাছেও। এরপরেও ইস্টবেঙ্গলের লোগো লাগানো মাস্ক কারও দরকার হলে, সংগ্রহ করতে পারবেন ক্লাব থেকে। সেক্ষেত্রে দাম দিতে হবে ২৫ টাকা। এমনকী মেম্বারশিপ কার্ড নবীকরণের সময়ও তুলে দেওয়া হবে মাস্ক।
এর আগে রাজ্যে খেলাধুলো শুরু করার জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে স্পোর্টস কাউন্সিলে আলোচনায় বসেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এদিন জানান, যেহেতু রাজ্যে লকডাউন ফের বেড়ে গিয়েছে, তাই জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ফের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। অরূপ বিশ্বাসের কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার খেলাধুলোর ক্ষেত্রে বলেছে, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে দর্শকশূন্য মাঠে ম্যাচ করতে হবে। দর্শক ছাড়াও ম্যাচ আয়োজন সম্ভব। কিন্তু খেলার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হচ্ছে। আমরাও চাই খেলাধুলো শুরু হোক। কিন্তু জীবন আগে।”