সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি উইনডো ট্রান্সফারে একের পর এক চমক। ময়দানের তিন প্রধানই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যেন একে অপরের ফুটবলারদের তুলে নিচ্ছে। জঘন্য পারফরম্যান্সের জেরে যে ক্রোমাকে মোহনবাগান ছাঁটাই করেছিল, তাঁকেই ইস্টবেঙ্গল লুফে নেয়। আর এবার, ইস্টবেঙ্গল থেকে সদ্য বিতাড়িত উইলিস প্লাজাকে সই করাল মহামেডান।
[যুব বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারত, বাংলাদেশকে উড়িয়ে শেষ চারে পৃথ্বীরা]
সাদা-কালো ক্লাবের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছেন প্লাজা। সই-সাবুদের পালাও শেষ। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দশ নম্বর জার্সি। ক্লাব সচিব গজল জাফর বলেন, “প্লাজাকে আমরা দলে পেয়ে অত্যন্ত খুশি। ওঁর অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করি আগামী দিনে ও দলের অন্যতম সম্পদ হয়ে উঠবে।” দলকে আই লিগের মূল পর্বে পৌঁছে দেওয়ার শপথ নিয়েই মহামেডানে নাম লেখালেন ত্রিনিদাদের ফরোয়ার্ড। বলছেন, “নিঃসন্দেহে ভারতের বড় ক্লাবগুলির মধ্যে মহামেডানও একটি। এবং সেই দলের অন্যতম সদস্য হতে পেরে বেশ ভালই লাগছে। ক্লাবের তরফে প্রস্তাব পাওয়ার পর এক মুহূর্তও ভাবিনি। এই দলের জার্সি গায়ে গোল করে দলকে আই লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য আমি প্রস্তুত।” অর্থাৎ পুরনো গ্লানি ঝেরে ফেলে নয়া উদ্যোমেই মাঠে নামতে চাইছেন প্লাজা।
[ইস্টবেঙ্গলে প্লাজার বদলি মোহনবাগানের ছাঁটাই ক্রোমা!]
উল্লেখ্য, চলতি আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে শোচনীয় পারফরম্যান্স ছিল ইস্টবেঙ্গলের। স্ট্রাইকার হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন উইলিস প্লাজা। যার জেরেই তাঁকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কর্মকর্তারা। ডার্বি শেষে কোচ ও কর্মকর্তারা বৈঠক করেই একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপরই ইস্টবেঙ্গলের থেকে রিলিজ চান প্লাজা। বলা ভাল তাঁকে রিলিজ চাইতে বাধ্য করা হয়। বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রফা হওয়ার পরই বিদায় জানানো হয় তাঁকে। মরশুমের মাঝ পথে প্লাজা ছেড়ে যাওয়ায় নয়া বিদেশি হিসেবে ডাক পান ক্রোমা। যাঁকে আবার বাদ দিয়েছিল গঙ্গাপারের ক্লাব। এবার দেখার সাদা-কালো জার্সি গায়ে প্লাজা ফর্মে ফেরেন কিনা।