সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই অপ্রত্যাশিত সুপার ওভারের জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা আজও মনে রেখেছেন যোগিন্দর শর্মাকে। তাঁর অসাধারণ বোলিং দক্ষতাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ধোনিবাহিনী। সেই যোগিন্দর শর্মার বর্তমান পরিচয় হিসারের ডিএসপি। আর তাঁর বাবাকেই কিনা এবার চরম হেনস্তার শিকার হতে হল। দুই দুষ্কৃতী আচমকা তাঁর বাবা ওমপ্রকাশ শর্মার উপর ছুরির নিয়ে হামলা চালায়। এমনকী তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র ছিনতাইও করে নেয়।
[স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়ে নেটদুনিয়ায় সমালোচিত ইরফান পাঠান]
গত শনিবার রাতে রোহতকের কাঠকান্ডিতে নিজের কেকের দোকান বন্ধ করছিলেন ৬৮ বছরের ওমপ্রকাশবাবু। সেই সময় তাঁর দোকানে সিগারেট ও ঠান্ডা পানীয় কিনতে হাজির হয় বছর ২০-র দুই যুবক। জিনিস কিনে নিয়ে চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর আবার সেখানে ফেরে তারা। আর তখনই ওমপ্রকাশ শর্মাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করে যোগিন্দরের বাবা বলেন, “ওই দুই যুবক প্রথমে আমার পকেট থেকে টাকাকড়ি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতেই একজন ছুরি বের করে আমার পেটে ঢুকিয়ে দেওয়ার উপক্রম করে। কোনওরকমে ছুরিটা ধরে ফেলে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাই। তবে তখনই হাতে জোরে আঘাত লাগে। তারপর আমায় সরিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে ড্রয়ার থেকে সমস্ত টাকাপয়সা নিয়ে নেয়। আহত অবস্থাতেই আমাকে দোকান ভিতর ফেলে বাইরে দিয়ে লক করে পালিয়ে যায় ওরা।” প্রায় সাত হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।
[শশীকলার গোপন রান্নাঘর ফাঁস করে বদলি ‘উপহার’ পেলেন পুলিশ আধিকারিক]
অসহায় অবস্থায় যোগিন্দরের আরেক ভাই দীপককে ফোন করে ওমপ্রকাশবাবু। দীপক এসে তালা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন। দীপক জানান, “আক্রমণ রুখতে গিয়ে হাতে ছুরির আঘাত লেগেছে বাবার। তবে আপাতত তিনি ভাল আছেন। হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ ও ৩৭৯ বি ধারায় ওই অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে প্রশ্ন উঠছে, যে রোহতকে ক্রিকেটার যোগিন্দরের ভক্তের অভাব নেই, সেখানেই কেন এভাবে হেনস্তার শিকার হতে হল তাঁর বাবাকে? ছেলে পুলিশকর্মী হওয়া সত্ত্বেও কেন বাবার এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই!