সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতে দমদম বিমানবন্দরে নেমেও মোহনবাগানিদের আশ্বস্ত করলেন আক্রম। লেবাননের অন্যতম স্ট্রাইকার জানিয়ে দিলেন, এবারও মোহনবাগানের পক্ষে আই লিগ পাওয়া সম্ভব।
আক্রম যখন দমদমে নামেন তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১টা ২০ মিনিট। বেশ কিছু মোহনবাগান সমর্থককে দেখা যায় তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে। বুধবার বিকেলে তাঁর প্র্যাকটিসে নেমে পড়ার কথা। কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী তাঁর আসার কথা মাথায় রেখে এদিন বিকেলে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করেছেন। লেবাননের স্ট্রাইকার অতীতে চার্চিলে খেলে গিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন চার্চিলকে। যদিও মাঝে চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। সেবার তিনি আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান পেয়েছিলেন। এখনও তাঁর ধার যে কমেনি তা বর্তমান পারফরম্যান্স বলে দিচ্ছে। কিন্তু মোহনবাগানের বর্তমান যা হাল তাতে আই লিগ পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন। ৯ ম্যাচ খেলে এই মুহূর্তে মোহনবাগানের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। সেখানে মিনার্ভা সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে রয়েছে। তবুও আশা ছাড়তে নারাজ গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের নয়া বিদেশি। আক্রম বিমানবন্দরে নেমেই বলছিলেন, “আই লিগ পাওয়া এখনও মোহনবাগানের পক্ষে সম্ভব। আমি সব খবর রাখছি। আর মোহনবাগান আমার কাছে নতুন নয়। আশা করি, এবার চার্চিলের মতোই মোহনবাগানকেও সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারব।” আগামী রবিবারের ডার্বিতে সোনি খেলতে পারবেন কিনা, এদিন প্র্যাকটিসের পরই তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যাবে।
[সিরিজে সমতা ফেরানোর ক্ষীণ আশা জিইয়ে রাখলেন পূজারারা]
আক্রম নেমে যাওয়ায় মোহনবাগানিরা যখন স্বপ্নের জাল বুনছে তখন ইস্টবেঙ্গল একপ্রকার লুকিয়ে আইজল ছাড়ল। মজার ঘটনা হল, সাতসকালে হোটেল ছেড়ে আইজল বিমানবন্দরে এসেও বিপত্তি পিছু ছাড়ল না। ইস্টবেঙ্গল ঝামেলা এড়ানোর জন্য ঠিক করেছিল, সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়বে। যথারীতি বেরিয়েও পড়ে। কিন্তু আইজল বিমানবন্দরে আসার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় এত তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্টে ইস্টবেঙ্গলকে বসতে দেওয়া যাবে না। সাড়ে ১২টার ফ্লাইট ছিল ইস্টবেঙ্গলের। শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের অনুরোধে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ কাটসুমিদের বসার অনুমতি দেয়। নিরাপদে দল পৌঁছয় কলকাতায়। যদিও লাল-হলুদ কর্তারা আই লিগের সিইও সুনন্দ ধরের আচরণে বিস্মিত।