ভারত- ১৮৭ ও ২৪৭
দক্ষিণ আফ্রিকা- ১৯৪ ও ১৭৭/১০ (ডিন এলগার ৮৬, শামি ৫/২৮)
ভারত জয়ী ৬৩ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ান্ডারার্সের পিচে কি সত্যি ভূত রয়েছে? নাহলে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ৪৩ রানে ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা! পিচকাণ্ড নিয়ে এখন আর ভাবতে নারাজ টিম ইন্ডিয়া। কারণ তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে প্রোটিয়াদের ধরাশায়ী করে মুখরক্ষা হয়েছে বিরাটদের। সৌজন্যে মহম্মদ শামির আগুনে বোলিং। তাঁর পেসের সামনে চতুর্থ দিনে রীতিমতো আত্মসমর্পণ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। পরিণাম, শেষ টেস্টে ৬৩ রানে জিতে কিছুটা হলেও সম্ভ্রম রাখলেন বিরাটরা। অন্যদিকে, ডিন এলগার ও হাসিম আমলা ছাড়া কেউই ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ। চার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান তো ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। এই হারের পর পিচের ভূত আরও ঘাড়ে চেপে বসবে দক্ষিণ আফ্রিকার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
[ওয়ান্ডারার্সের পিচকে ভয়ংকর আখ্যা দিলেন প্রাক্তনরা]
এদিন পিচ বিতর্কের জেরে সরগরম চতুর্থ দিনের খেলা। তবে প্রথম দিকে ভালই যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ডিন এলগারের ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকা দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো কোনওভাবে টেস্ট বাঁচিয়ে দেবে প্রোটিয়ারা। চা বিরতির সময় তাদের স্কোর ছিল ১৩৬/৩। জেতার জন্য বাকি ১০৫ রান। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট। এই পরিস্থিতি থেকেও যে কোনও দল ম্যাচ হারতে পারে তার উদাহরণ অতীতে প্রচুর রয়েছে। তবে মাঠে আসা সমর্থকরা দক্ষিণ আফ্রিকার হার আশাও করতে পারেননি। এলগার ২৪০ বল খেলে ৮৬ রানে নট আউট থাকেন। আমলা করেন ১৪০ বলে ৫২ রান। বাকিরা কেউই টিকতে পারেননি। তাই যা হওয়ার তাই হয়েছে। শেষ টেস্টে জিতে সম্মানের সঙ্গে মাঠ ছাড়লেন বিরাটরা। সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু এই টেস্ট সিরিজ থেকে অনেক কিছু শিক্ষা হলো বিরাটদের, তা অাক্ষরিক অর্থে বলাই যায়।
ম্যাচ শেষে বিরাট যা বললেন: