সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেমনভাবে ছক সাজানো হয়েছিল, সেটাই বাস্তবে রূপ পেল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়ানডে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল ধোনিবাহিনী। নিঃশব্দে নিন্দুকদের যেন মহেন্দ্র সিং ধোনি জবাব দিয়ে দিলেন, তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। আনকোরা দল নিয়ে বিদেশের মাটিতেও বড়সড় ব্যবধানে জিততে পারেন তিনি। সোমবারের কর্মব্যস্ত দিনের সকালটা ব্রাজিলের হারে ম্লান হয়ে গিয়েছিল। টিম ইন্ডিয়ার জয়ে মন খারাপ কাটিয়ে ফের চনমনে হয়ে উঠলেন দেশবাসী।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে নজির গড়েছিলেন লোকেশ রাহুল। এর আগে কোনও ভারতীয় অভিষেক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেননি। শনিবার তরুণ রাহুলের অপরাজিত ১০০-তে ভর করেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সোমবার তিনি অবশ্য ৩৩ রানে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে ২৯ টি একদিনের ম্যাচ খেলে দ্রুত ১০০০ রানের ক্লাবে ঢুকে পড়েন অম্বতি রাইডু। শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির পর তিনিই এই ক্লাবের তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান। এদিনও ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন।
এদিনও টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। মাসাকাদজা, চিবাবাদের বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেননি চ্যাহেল, কুলকর্ণিরা। ৩৪.৩ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন চ্যাহেল। কুলকর্ণি এবং স্রাণ দু’টি করে উইকেট তুলে নেন। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আইপিএল-এ যাঁরা আখছার ১৫০-২০০ স্কোর করে ফেলেন, তাঁদের কাছে ৫০ওভারের খেলায় এই টার্গেট নেহাতই সামান্য। জবাবে ১৩৯ বল বাকি থাকতে দুই উইকেট হারিয়েই জয় পকেটে পোরে ভারত। ব্যাট হাতে অবশ্য এদিনও মাঠে নামতে হল না ক্যাপ্টেন কুলকে।
সমালোচকদের সমালোচনা অবশ্য এত তাড়াতাড়ি ফুরনোর নয়। বিশেষজ্ঞমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, অনেকেই বলছেন, এই জিম্বাবোয়েকে রঞ্জি দলও হারিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে জয়কে কি খুব খাটো করে দেখা উচিত?