ভারত: ৬৮৭/৬ (ডিক্লেয়ার) ও ১৫৯/৪ (ডিক্লেয়ার)
বাংলাদেশ: ৩৮৮ ও ১০৩/৩
চতুর্থ দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্টের তৃতীয় দিনই ইঙ্গিতটা মিলেছিল। যেভাবে শক্ত হাতে রানের পাহাড় সামলাতে শুরু করেছিলেন মুশফিকুর এবং মেহেদি হাসান, তাতে ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে নামতে হতে পারে। রবিবার তেমনটাই হল। প্রায় ৩০০ রান পিছিয়ে থেকেও ফলো-অনের হাত থেকে বেঁচে গেল বাংলাদেশ।
(প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিদেশি লিগে খেলবেন ইউসুফ)
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বিরাটরা। তারপরই ভারত সফরে এসেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার এ দেশের মাটিতে পাঁচদিনের ক্রিকেটে নেমেছেন বেঙ্গল টাইগাররা। তাও আবার টেস্ট ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার দলের বিরুদ্ধে। তাই ধারে ও ভারে বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ভারত। তা সত্ত্বেও কোচ অনিল কুম্বলে বলেছিলেন, প্রতিপক্ষকে তাঁরা একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না। যে কোনও সময় জ্বলে উঠতে পারে বিপক্ষ। তাই সতর্ক থাকতে হবে। অভিজ্ঞ কোচ যে ভুল কিছু বলেননি, তা চতুর্থ দিনের সকালে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। একরাশ চাপের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা করে সেঞ্চুরি হাঁকালেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মূল্যবান সময়ে ২৬২ বলে ১২৭ রানের লম্বা ইনিংস খেললেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ইতি টানলেন অশ্বিন। মুশফিকুরকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েই দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন ভারতীয় স্পিনার। হাতে তখনও বাকি প্রায় পৌনে দু’দিন। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে পড়েন বিরাটরা। বাংলাদেশের সামনে ৪৫৯ রানের লক্ষ্য তৈরি করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে টিম ইন্ডিয়া। ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন চেতেশ্বর পূজারা।
(মুশফিকুরকে ফিরিয়ে দ্রুততম ২৫০ উইকেটের রেকর্ড অশ্বিনের)
তবে ভারতীয় স্পিন অ্যাটাকের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। অশ্বিন দু’টি এবং জাদেজা একটি করে উইকেট নেন। উপলে একমাত্র টেস্টের শেষ দিন বাকি সাতটি উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের ঝান্ডা ওড়ানোই পাখির চোখ বিরাটবাহিনীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও অঘটন না ঘটলে ভারতের জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।