সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর মাথা থেকে ডোপ কেলেঙ্কারির দাগ এখনও মুছল না। ডোপ পরীক্ষায় ফেল করার অভিযোগে ভারতীয় গোলকিপার সুব্রত পালকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করল জাতীয় ডোপবিরোধী সংস্থা (নাডা)।
গত মার্চে কম্বোডিয়া উড়ে যাওয়ার আগে মুম্বইয়ে জাতীয় দলের স্পাইডারম্যানের ‘এ’ নমুনার পরীক্ষা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। তাঁর নমুনায় নিষিদ্ধ টারবুটালিন বিটা-২ মেলে। তবে তখনই তাঁকে নির্বাসিত করেনি নাডা। তবে সংস্থা জানিয়েছিল, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আরও একটি সুযোগ পাবেন সুব্রত। তিনি চাইলে ‘বি’ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারেন। ফলে এরপরেও ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি। ফেডারেশন কাপে মাঠে নেমেছিলেন। তবে ১৩ মে তাঁর দল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলে সুব্রত নিজেই স্বেচ্ছা নির্বাসনের (ভলেন্টারি সাসপেনশন) আবেদন জানিয়েছিলেন। নাডার ডিরেক্টর জেনারেল নবীন আগরওয়াল মঙ্গলবার জানান, ভারতীয় গোলকিপার স্বেচ্ছা নির্বাসন চেয়েছিলেন। তাই তাঁকে নির্বাসিতই করা হল।
[ভুলে ভরা পাঠ্যবইয়ে সিন্ধু হয়ে গেল কমনওয়েলথ পদকজয়ী]
আর কয়েক মাস পরই দেশের মাটিতে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে। তার আগে এমন ঘটনায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় ফুটবলের ভাবমূর্তি। এমনটাই মত ফুটবলমহলের। তবে সুব্রত বলেছিলেন, ডোপ পরীক্ষায় যে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারবেন না, এমনটা স্বপ্নেও ভাবেননি। তাঁর বিশ্বাস নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন তিনি। শৃঙ্খলারক্ষা প্যানেলের সামনে শীঘ্রই গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই ঘটনায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে অথবা খেলার অযোগ্য প্রমাণিত হলে তাঁর গোটা নির্বাসনের থেকে বর্তমান সাসপেনশনের সময়সীমা বাদ দেওয়া হবে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, দোষী প্রমাণিত হলে চার বছর পর্যন্ত নির্বাসনের শাস্তি পেতে পারেন ফুটবলার।