Advertisement
Advertisement

ইতিহাস গড়েও এএফসি কাপ অধরা রইল সুনীলদের

প্রথমবার এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ল ইরাকের এয়ারফোর্স ক্লাব৷

Iraq Air Force club beat Bengaluru FC to clinch AFC Cup for the first time
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 5, 2016 11:47 pm
  • Updated:November 6, 2016 12:01 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একশো তিরিশ কোটির প্রত্যাশা কাঁধে নিয়ে অঘটন ঘটাতে মাঠে নেমেছিলেন সুনীল ছেত্রীরা৷ লড়াই হল৷ কিন্তু মিরাকল হল না৷ ‘সুপারম্যান’ হামাদির গোলে ইরাকের এয়ারফোর্স ক্লাবের কাছে ০-১ হেরে রানার্স-আপের তকমা গায়ে চাপিয়েই মাঠ ছাড়তে হল ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সফল ক্লাবকে৷

’৬২-র এশিয়াড জয়, ২০১১ এশিয়া কাপে খেলা, মারডেকা জয়ের মতো ভারতীয় ফুটবলের ঐতিহাসিক ঘটনার তালিকায় ঢুকে পড়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি-র এএফসি কাপের ফাইনালে পৌঁছনোর নজিরও৷ দোহার সুহায়িম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে শনিবার ফুটবলের ঘুমন্ত সিংহকে জাগাতে, নতুন সূর্যোদয়ের শপথ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সুনীলরা৷ কিন্তু ভারতীয় ফুটবল ক্লাবকে এশিয়ার সেরা করার কাজটা শেষমেশ অধরাই থেকে গেল৷ ধারে ও ভারে অনেকটা এগিয়ে থাকা কোচ বাসিম কাসিম বাহিনীই প্রত্যাশিতভাবেই শেষ হাসি হাসল৷ প্রথমবার এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ল আল কুয়া আল জাওইয়া৷

Advertisement

প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুর খেলা একেবারেই দানা বাঁধল না৷ ৩০ মিনিটে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন লিংডো৷ কিন্তু গোল এল না৷ হামাদি আহমেদের গোলমুখি শট আটকে দেওয়া ছাড়া প্রথমার্ধে আর তেমন কিছুই করতে পারলেন না রোচার ছেলেরা৷

Advertisement

এদিকে প্রথমার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কাজটা যেন সেরে নিচ্ছিল এয়ারফোর্স দল৷ দ্বিতীয়ার্ধে স্বমহিমায় ধরা দিল তারা৷ প্রথমার্ধের সব ভুল শুধরে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের জাত চেনাল ইরাকের জাতীয় লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা৷ যাঁকে নিয়ে ভারতীয় ক্লাবের সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল, সেই হামাদিই গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন৷ ৬৯ মিনিটে রাধির সেন্টার থেকে চলতি টুর্নামেন্টের ব্যক্তিগত ১৬ তম গোলটি করলেন হামাদি৷ সুনীলদের আত্মবিশ্বাস তখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ বল পায়ে খেলে চলেছেন হামাদিরা৷ আর রোচার ছেলেরা তখন যেন শুধুই দর্শক৷ খেলার শেষের দিকে বিনীতের কাছে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ এসেছিল৷ কিন্তু তিনি যে ভুল করলেন, তার জন্য রাতে হয়তো ঘুমোতে পারবেন না তিনি৷

ইরাক বরাবর ফুটবল দৈত্য হিসেবে থেকে গিয়েছে৷ ক্লাব স্তরে ভারতের হাল মোটেই বলার মতো নয়৷ মোট ছ’বার দেখা হয়েছে ভারতীয় ক্লাবগুলোর সঙ্গে৷ কলকাতার দুই প্রধানের মধ্যে একবার মাত্র জেতার রেকর্ড আছে ইস্টবেঙ্গলের৷ ১৯৯৩-তে আল জাওরা ক্লাবকে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে শিলিগুড়ির মাটিতে হারিয়ে ছিল লাল-হলুদ৷

ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তনরাও মেনে নিয়েছিলেন যে কাজটা কঠিন ছিল৷ তবে সান্ত্বনা একটাই ডেম্পো, ইস্টবেঙ্গল যা পারেনি, তা করে দেখিয়েছে বেঙ্গালুরু৷ আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথটা চওড়া করার কাজটা ভালভাবেই সেরে রাখলেন সুনীলরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ