সুলয়া সিংহ: ডার্বি নাকি মেলা প্রাঙ্গন? শনিবাসরীয় মোহনবাগানে ঢুকলে এক মুহূর্তের জন্য এমন ভুল হতেই পারে। প্র্যাকটিস দেখতেই সমর্থকদের ভিড় যেভাবে উপচে পড়েছে তাতে ডার্বির দিন যুবভারতীর চেহারা ঠিক কেমন হবে, তা আন্দাজ করতে অসুবিধা হয় না।
ক্লাবের এক প্রান্তে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে সবুজ মেরুন পতাকা, মাথার ব্যান্ড। অন্যদিকে আবার চাহিদা জাঙ্ক ফুডের। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যাঁরা টিকিট কাটছেন, তাঁদের কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না। গলা শুকিয়ে গেলে রয়েছে চায়ের ব্যবস্থা। গ্যালারিতে বসে প্র্যাকটিস দেখার সময় টুকটাক মুখ চলছে সমর্থকদের। অনেকদিন পর ডার্বির প্রাক্কালে ময়দানের চেহারাটা সেই আগের মতো। শিলিগুড়িতে ম্যাচ চলে যাওয়ায় এ ময়দান বেশ কয়েকটা ডার্বিকে কাছ থেকে পায়নি। তাই মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচকে চেটেপুটে উপভোগ করতে মুখিয়ে রয়েছেন সমর্থকরা।
[বিরাটের মুকুটে নয়া পালক, টেস্টে ৫০০০ রানের ক্লাবে অধিনায়ক]
ইস্ট-মোহন ম্যাচের টিকিট প্রায় শেষ। অর্থাৎ যুবভারতীর ৬৬ হাজার আসনই ভরতি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি আইএসএল-কে যেন এভাবেই জবাব দিতে চাইছেন সমর্থকরা। ফুটবলের আবেগের কাছে যে বছর চারেক ময়দানে পা রাখা দল ধোপে টেকে না, সেটাই বারবার উঠে আসছে সমর্থকদের কথায়। আর বাগান সমর্থকদের এবারের বাজি সেই সোনি নর্ডি। পোড়খাওয়া একাধিক ডার্বির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সোনির নামের ব্যাখ্যাও তাই পালটে গিয়েছে। ‘জীবনের রং সবুজ মেরুন’ (JRSM) ফ্যান ক্লাবের কথায়, সোনি মানে, সাকসেস-অপটিমিসটিক-ন্যাচারাল-ইউথফুল। ২০ থেকে ৩০ ফুটের এমনই এক একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে রবিবার যুবভারতীতে হাজির হবে তারা।
শিলিগুড়িতে সোনির গোলের পর স্টেনগানের সেই ভঙ্গি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। এবারও চিরশত্রুর ডেরায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবেন হাইতিয়ান স্ট্রাইকারই। প্র্যাকটিস শেষে বেরোতেই তাঁবু জুড়ে সো…নি, সো…নি রব উঠল। তাঁর থেকে ভক্তদের প্রত্যাশা কতখানি, তা ভালই জানেন তারকা স্ট্রাইকার। কিন্তু বাড়তি চাপ নিচ্ছেন না। সোনি অবশ্য এবার পাশে পাবেন না কাটসুমি উসাকে। জাপানি বোমা এবার পাশের ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। কিন্তু তাতে কী! ডিকা, ক্রোমারা তো রয়েছেন। সোনির কথায়, তাঁরাও কম না। দুপুরে ডার্বি বলে দুপুরেই প্র্যাকটিস সেরেছে দল। প্রস্তুতির পালা শেষ। ময়দানে এখন শুধুই মহারণের দামামা।