সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলা শুরু সেই সেই দুপুর ২ টোয়। কিন্তু তাতে কী! সাত সকালে প্রিয় ক্লাবের পতাকা হাতে, গায়ে জার্সি চাপিয়ে যুবভারতীতে পৌঁছে গিয়েছেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। দু’দলের সমর্থকদের মধ্যেই চাপা একটা টেনশন থাকলেও একে অপরকে মাঠে ‘দেখে নেওয়ার’ কথাই শোনা যাচ্ছে তাঁদের মুখে।
[ছন্নছাড়া ফুটবল, পুণে সিটির কাছে জঘন্য হার এটিকের]
টেনশন কীসের? ছন্দে থাকা ইস্টবেঙ্গল আপাতত চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ভালভাবেই এগিয়ে চলেছে। কিন্তু গত ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে হেরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হাসির খোরাক হতে হয়েছিল। তাছাড়া গত পাঁচটি ডার্বিতেই অপরাজিত গঙ্গাপারের ক্লাব। সুতরাং চাপা টেনশনটা থেকেই গিয়েছে। এবার অবশ্য ডুডু চলে আসায় আশার আলো দেখছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। রবিবার তাঁরা মাঠ ছাড়তে চান বিজয় ধ্বজা উড়িয়েই। অন্যদিকে মোহনবাগান সমর্থকদের দুশ্চিতাও কম নয়। দলের প্রাণ ভোমরাই খেলতে পারবেন না। মাঠে সোনি নর্ডির উপস্থিতি দলকে আলাদা অক্সিজেন দেয়। আর তিনি না থাকলে ফুটবলারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কেমন পালটে যায়, সে প্রমাণ আগেও পেয়েছেন সবুজ-মেরুন ফ্যানরা। শুধু তাই নয়, গত ম্যাচে যে হাত জোড়া ডার্বি জয়ের ত্রাতা হয়ে উঠেছিল, সেই শিল্টন পালও এদিন অনিশ্চিত। আর এদিন ডাগআউটে সেই ব্যক্তিরই দেখা মিলবে না, যাঁর আমলে ডার্বিতে হারের মুখই দেখতে হয়নি বাগানকে। সেই সঞ্জয় সেনকেও মিস করবেন সমর্থকরা। উলটো দিকে কোচ হিসেবে শঙ্করলাল চক্রবর্তীও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তাছাড়া ড্র ও হারের ধাক্কায় লিগ তালিকার অনেকটাই নিচে (৬ নম্বরে) দল। সবমিলিয়ে আই লিগের গত ডার্বির চেয়ে ফিরতি ডার্বিতে মোহনবাগান শিবিরের ছবিটা অনেকটাই পালটে গিয়েছে। আর তাই চিন্তিত ভক্তরা। তবে দলের সমর্থনে যে কোনও ঘাটতি হবে না, তা স্পষ্ট সকালের যুবভারতী দেখেই। সাত সকালেই পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। তার উপর আজ কুড়ি হাজার বাগান ভক্তকে দেখা যাবে সোনির মুখোশ পরে। বিদায় বেলায় হাইতিয়ান স্ট্রাইকারকেই এভাবেই সম্মান জানাবেন তাঁরা।
[রবিবারের ডার্বিতে যুবভারতীতে থাকবে হাজার হাজার সোনি, কীভাবে জানেন?]
এদিকে অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের মতোই এদিন সল্টলেক স্টেডিয়ামে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি মাঠের ভিতরও থাকবেন সাদা পোশাকের পুলিশ। সিসিটিভির মাধ্যমেও চলবে কড়া নজরদারি। স্টেডিয়ামের প্রতিটি গেটে ইস্টবেঙ্গল ভল্যান্টিয়ানরা থাকবেন সাহায্যের জন্য। আর ম্যাচ দেখে বাড়ি ফিরতে যাবে সমস্যা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত ৬৫টি বাসের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।