মাজিয়া আরসি- ৫
মোহনবাগান-২
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলে মাত্র একজন বিদেশি৷ উসা কাটসুমি৷ ফেডারেশন কাপের জন্য সোনি, এডুয়ার্ডোদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল৷ ব্যক্তিগত কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি কোচ সঞ্জয় সেনও৷ এমন পরিস্থিতিতে অ্যাওয়ে ম্যাচের লড়াই কতটা চ্যালেঞ্জিং, তা ভালই জানতেন বলবন্ত, জেজেরা৷ কিন্তু নিজেদের ঘরের মাঠে মাজিয়া যে এভাবে বাগানকে উড়িয়ে দেবে, তা হয়তো অনেক সবুজ-মেরুন ভক্তই ভাবতে পারেননি৷ পাঁচ-পাঁচটা গোল হজম করতে হল দলকে৷
একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল আই লিগ৷ শেষ ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়েও কাপ ঘরে তোলা হয়নি৷ সেই যন্ত্রণা বুকে নিয়েই তার কয়েকঘণ্টার মধ্যে মালদ্বীপ উড়ে যেতে হয়েছিল কাটসুমিদের৷ সামনে ছিল কঠিন লড়াই৷ আই লিগ না পাওয়ার গ্লানি আর ফেড কাপ জয়ের স্বপ্নের মাঝে শেষমেশ পিষে গেল এএফসি কাপে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আশা৷ এদিন শুরু থেকেই বাগান ডিফেন্স জোর আক্রমণ হানে বিপক্ষ৷ তাই গোলমুখ খুলতে বেশি সময়ও লাগেনি৷ ৪-৫-১ ছকে দল নামিয়েছিলেন সহকারী কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী৷ আসফাধ হাবিব, আসাদুল্লা আবদুল্লাকে আটকাতে ব্যর্থ রাজু, কিংশুক দেবনাথ, বিক্রমজিত সিংরা৷ ১৩ মিনিটে প্রথম গোল হাবিবের৷ ২৭ মিনিটে আবদুল্লার বাড়ানো বল থেকে গোল করে ফের দলকে এগিয়ে দেন মহম্মদ উমেইর৷ দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে নিজে তো গোল করলেনই, রাকিচের একটি গোলের নেপথ্যেও ছিলেন মাজিয়ার স্ট্রাইকার আবদুল্লাই৷ বাগানের হয়ে কিংশুক ও জেজে একটি করে গোল শোধ করলেও তখন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল৷ ফেড কাপই এখন পাখির চোখ৷
এএফসি-তে প্রায় ছিটকে যাওয়ার পরিস্থিতিতে তাই দ্বিতীয় দলই পাঠানো হয়েছিল৷ ফলে জয় যে একপ্রকার অসম্ভব ছিল, তা আন্দাজ করাই গিয়েছিল৷ সেই আশঙ্কাই সত্যি হল৷ এএফসি কাপের প্রথম লেগে তিনটির মধ্যে দু’টিতে হেরে আগেই এএফসি কাপের আশা প্রায় শেষ করে ফেলেছিল মোহনবাগানে৷ এবারের হারে বাগানের এএফসি-র সফর শেষ হয়ে গেলই বলা চলে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.