মোহনবাগান- ৪ (জেজে ২, নিহান (আত্মঘাতী), সোনি)
ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া- ১ (ওয়েস্ট)
দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাগ্রিগেটে মোহনবাগান জয়ী ৫-২ ফলাফলে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিতলে বা গোলশূন্য ড্র করলেই চলে যেত এএফসি কাপের মূলপর্বে। মঙ্গলবার প্লে অফের ফিরতি লেগের ম্যাচে মালদ্বীপের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে চোখে সর্ষে ফুল দেখিয়ে ছাড়ল গঙ্গাপারের ক্লাব মোহনবাগান। ঘরের মাঠে জেতার লক্ষ্যেই নেমেছিল সঞ্জয় সেনের দল। এদিন রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে ৪-১ গোলে ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে চুরমার করে দিল মোহনবাগান। ম্যাচের নায়ক জেজে লালপেখলুয়া। তাঁর জোড়া গোলে ভর করেই মালদ্বীপের ক্লাবকে উড়িয়ে দিল বাগান। তবে আলাদা করে এদিন দু’জনের কথা বলতেই হবে। এক সোনি নর্ডি এবং দুই বলবন্ত সিং। একজন গোল করলেন এবং গোল করালেন। দ্বিতীয়জন গোল নষ্টের নজির তৈরি করলেন। তবুও সব ভাল যার শেষ ভাল। এই ম্যাচ জিতে এএফসি কাপের মূলপর্বে চলে গেল মোহনবাগান। এএফসির গ্রুপ ই-তে এবার তাদের প্রতিপক্ষ স্বদেশীয় ক্লাব তথা গতবারের রানার্স বেঙ্গালুরু এফসি, মাজিয়া আরসি এবং বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনী। এদিন ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ওয়েস্ট। দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাগ্রিগেটে মোহনবাগান জিতল ৫-২ ফলাফলে।
এদিন শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন বাগানের ফুটবলাররা। ম্যাচের শুরুতেই ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে ফেলেন। ২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেজে। আগের লেগে চোটের কারণে দলে ছিলেন না সোনি। তবে এদিন তাঁকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কোচ সঞ্জয় সেন। তাঁকে নিরাশ করেননি সোনি। এদিন দারুন খেললেন তিনি। গোটা প্রথামার্ধে সবক্ষেত্রেই নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছিল মোহনবাগান। বিরতির ঠিক মুখে ফের গোল পায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার হুসেন নিহানের আত্মঘাতী গোল। বিরতিতে স্কোর ছিল মোহনবাগানের পক্ষে ২-০।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই খুনে মেজাজে দেখা যায় সোনি, জেজেদের। কিন্তু গোল ব্যবধান বাড়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান বলবন্ত। কেন? কারণ বেশ কয়েকটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। গোলের সুযোগ নষ্ট করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন বলবন্ত। এই গোল নষ্টের মধ্যেই খেলার গতির বিপরীতে ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার ওয়েস্ট একটি অসাধারণ শটে বাগান গোলকিপার দেবজিতকে পরাস্ত করেন। স্কোর দাঁড়ায় ২-১। ঠিক তখনই জ্বলে ওঠেন সোনি। একের পর এক আক্রমণে ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন তিনি। ৬৬ মিনিটে বিক্রমজিতকে তুলে কাটসুমিকে নামান সঞ্জয় সেন। তারপর আরও খুরধার হয় বাগানের আক্রমণ। ৮২ মিনিটের মাথায় ফের গোল পান জেজে। প্রবীর দাসের ক্রসে দারুণ দক্ষতায় গোল করে যান জেজে। ততক্ষণে বিধ্বস্ত ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্স। তাঁদের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সোনি। ৮৭ মিনিটের মাথায় ভ্যালেন্সিয়ার জালে বল জড়িয়ে আগের ম্যাচে খেলতে না পারার জ্বালা জুড়িয়ে নেন তিনি।
সবশেষে বলা ভাল, ম্যাচে আধিপত্য রেখে মোহনবাগান জিতলেও এত গোলের সুযোগ নষ্ট আই লিগ জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বাগানের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.