Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে অবৈধ কাঠ

অবৈধভাবে দামি কাঠ মজুতের অভিযোগ, বিতর্কে সোনাজয়ী অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন

বনকর্মীদের অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, অ্যাথলিটকে নোটিস ধরাল বনদপ্তর।

Raid at Athlete Swapna Barman's house alleging to store wood illegally
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 13, 2020 6:43 pm
  • Updated:July 13, 2020 7:37 pm

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নদীর জলে ভেসে যাওয়া কাঠ বেআইনিভাবে বাড়িতে মজুত করায় এশিয়াডে সোনাজয়ী অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মনের (Swapna Barman) পরিবারকে নোটিস দিল বনদপ্তর। এক মাসের মধ্যে জলপাইগুড়ির বেলাকোবা রেঞ্জে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করার নির্দেশ দিলেন বনবিভাগের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) কর্মীরা। অন্যথায় তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

Log

Advertisement

স্বপ্না বর্মনের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তিস্তা নদী। প্রতি বর্ষায় জঙ্গলের কাঠ ভেসে যায় নদীতে। রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, তাঁদের কাছে খবর ছিল, নদীতে ভেসে আসা কাঠ বেআইনি ভাবে নির্মাণকাজে ব্যবহার করার জন্য বাড়িতে মজুত করেছেন স্বপ্না বর্মন। বাড়িতেই অবৈধভাবে কাঠ চেরা হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে জানতে পারেন তাঁরা। সেই সূত্রেই এদিন স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে অভিযান চালান টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরিযায়ীদের বাড়ি পাঠালেও ফেরা হল না নিজের ঘরে, করোনায় মৃত চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট]

অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন স্বপ্না ও তাঁর পরিবার। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে নির্মীয়মাণ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা। সেখানেও স্বপ্নার সঙ্গে বচসা হয় বনবিভাগের কর্মীদের। পরে বনকর্মীদের সহযোগিতা করেন স্বপ্না। জানান, যে কাঠ বাড়িতে রয়েছে, তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। তবে বাড়ির জিনিসপত্র এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার জন্য তখনই কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

[আরও পড়ুন: এবছর মোহনবাগান রত্নে ভূষিত হবেন দুই কিংবদন্তি, বিশেষ পুরস্কার পাবেন বেইতিয়া]

স্বপ্নার বাড়িতে বনকর্মীরা এসেছেন শুনে ছুটে আসেন পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি আবার সাফাই দিয়েছেন, নদীতে ভেসে আসা এই কাঠ জ্বালানির জন্য মজুত করেছে স্বপ্নার পরিবার। টাস্ক ফোর্সের প্রধান তথা রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, স্বপ্নার নির্মীয়মান বাড়ির ভেতর বেশ কিছু গাছের লগ পেয়েছেন তারা। এগুলো নদীতে ভেসে আসা কাঠ বলেই মনে করছেন তাঁরা। বাড়িতে কাঠ মজুত করতে হলে বনবিভাগের অনুমতি লাগে। এক্ষেত্রে কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। দেখাতে পারেননি। তিরিশ দিনের মধ্যে কাগজপত্র দেখাতে নোটিস দেওয়া হয়েছে বনদপ্তরের তরফে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ