Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রেনের মেঝেতে শুয়েই ৩০ ঘণ্টা সফর জাতীয় অ্যাথলিটদের, ভাইরাল ভিডিও

কেন এমন দুর্দশার শিকার অ্যাথলিটরা?

Watch: Delhi Athletes Forced To Sleep On The Train Floor Shows
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 24, 2017 10:51 am
  • Updated:September 22, 2019 5:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারা জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট। বিজয়ওয়াড়ায় অনূর্ধ্ব ১৬ জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিযোগী। অথচ ট্রেনের টিকিট নিশ্চিত না হওয়ায় মেঝেতে শুয়ে, দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা সফর করতে হল তাদের। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কর্তৃপক্ষর ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

[চেক বুক ব্যবস্থা উঠছে না, বিভ্রান্তি দূর করল অর্থমন্ত্রক]

ট্রেনে উঠে দিল্লির ৩০ জন অ্যাথলিটকে চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার হতে হল। জানা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে দুজনের টিকিট ছিল। নিজেরাই সেই টিকিট কেটেছিল বলে জানাচ্ছে ডিসকাস থ্রোয়ার প্রদীপ আতরি। বাকিরা সংরক্ষিত আসন না পাওয়ায় দাঁড়িয়েই সফর করে। শূন্য আসনে কিছুক্ষণ বসার সুযোগ পাওয়া গেলেও অন্য যাত্রী সেই আসনের টিকিট দেখাতেই উঠে পড়তে হচ্ছিল। এভাবেই দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তারা। কিন্তু কেন সংরক্ষিত টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়নি তাদের জন্য? কেন এমন দুর্দশার শিকার অ্যাথলিটরা? প্রদীপ যা জানাল, তাতে আরও একবার ক্রীড়া সংস্থার কঙ্কালসার চেহারাটাই উঠে এল। সে বলছে, পাঁচদিনের প্রতিযোগিতা আর তিনদিনের যাতায়াত মিলিয়ে মাথাপিছু মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছিল দিল্লি অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। ক্ষোভ চেপে রাখতে না পেরে ট্রেনে অ্যাথলিথদের করুণ অবস্থার একটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রদীপ। নিজেদের নালিশ জানায় সেখানে। বলছে, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকায় একজন অচেতন হয়ে পড়েছিল।” অনেকে আবার দাঁড়িয়ে না থাকতে পেরে শৌচাগারের কাছেই শুয়ে পড়ে। আরেক অ্যাথলিটের দাবি, এ ঘটনা নতুন নয়। তারা আগেও অসংরক্ষিত টিকিটে ট্রেনে সফর করেছে।

Advertisement

Advertisement

তবে ভুল স্বীকার তো দূর অস্ত, এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দিল্লি অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব সন্দীপ মেহতা। জানিয়েছেন, ফেরার নিশ্চিত দিনক্ষণ আগে থেকে জানা ছিল না বলেই টিকিট কাটা যায়নি। প্রথমে নির্ধারিত দিনে ফেরার টিকিট কাটা হয়েছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট যে স্থগিত হয়েছে তা জানা যায় ১৯ অক্টোবর। ফলে শেষ মুহূর্তে দিন বদলে যাওয়ায় আর ফেরার সংরক্ষিত টিকিট কাটা যায়নি।” এখানেই থামেননি তিনি। উলটে তার দাবি, ৩০ জন নয়, ১৮ থেকে ১২০ জন অ্যাথলিট সফর করছিল। এমন অভিযোগ নাকচ করেছে প্রদীপ।

[ভারতে এসে ঘুরতে যাওয়া নয়, পাক আধিকারিকদের ফরমান বিদেশমন্ত্রকের]

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর প্রতিযোগিতা স্থগিত ছিল। যা ভারতীয় অ্যাথলেক্সি ফেডারেশন ওয়েবসাইটে গত ৪ অক্টোবরই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কীভাবে ১৯ অক্টোবরের কথা বলা হচ্ছে? তারপরও টিকিটের বন্দোবস্ত কেন করা হল না? এসব প্রশ্নই উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ