Advertisement
Advertisement

দাবা খেলা হারাম! সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার কী জবাব দিলেন কাইফ?

দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, খেলা কখনও ধর্মের গণ্ডী মানে না।

Playing chess is haram! Kaif shuts clerics for criticism
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 30, 2017 7:24 am
  • Updated:July 30, 2017 7:24 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য দাবা খেলার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল। ছেলের সঙ্গে দাবা খেলার ছবিতে ক্যাপশন দিয়েছিলেন, ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’। তাতে মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল। শুনতে হয়েছিল, দাবা খেলা ইসলামে হারাম। এবার বেশ কিছুদিন পর সব হেনস্তার জবাব জবাব দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। বললেন, খেলাটাকে খেলা হিসাবেই দেখা উচিত। জাতি-ধর্ম-বর্ণের বাধার প্রাচীর ভাঙার সবচেয়ে সেরা উপায় হল খেলা। খেলা এই সব কিছুর উর্ধ্বে বলে মত তাঁর। তাই সবাইকে আরও বেশি করে খেলাধুলো করার পরামর্শ দিয়েছেন কাইফ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মৌলবাদীদের হেনস্তার শিকার হওয়া সেলেবদের তালিকা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ক্রিকেটার ইরফান পাঠান, অভিনেত্রী সোহা আলি খান, দঙ্গল ছবি খ্যাত ফতিমা সানা শেখ, ক্যাটরিনা কাইফ, আরও অনেকেই মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মৌলবাদীদের হেনস্তার মুখে পড়ছেন। সেলেবদের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি-ঝুকি দিয়ে অনেকেই তাঁদের সমালোচনা করছেন। কাইফের এমন অভিজ্ঞতা প্রথম নয়। এর আগে সূর্য নমস্কারের ছবি পোস্ট করে একইভাবে ইসলামিক মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়েন ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের নায়ক। এবার দাবা খেলার ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়ান কাইফ। যারা দাবা খেলাকে ইসলামি মতে হারাম বলে উল্লেখ করেছেন তাদের উদ্দেশে টুইটারে জবাব দিয়েছেন কাইফ। লিখেছেন, ‘দাবা একটি দারুন খেলা। নিজের জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া কোনও অপরাধ নয়। বিশেষ করে এমন একটা খেলা যা ভারতেরই আবিষ্কার এবং বহু শতাব্দী ধরে সবাই খেলে আসছে। দাবা আমাকে স্বতঃস্ফূর্ততা শিখিয়েছে। অল্পবয়স থেকেই উপস্থিত বুদ্ধি এবং নানান পন্থা অবলম্বনে সাহায্য করেছে। ময়দান এবং জীবনেও এই দাবা বহুবার প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছে।’

বোঝাই যাচ্ছে, কোনও বিতর্কে না গিয়ে সব সমালোচনায় মিছরির ছুরি চালিয়েছেন কাইফ। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, খেলা কখনও ধর্মের গণ্ডী মানে না। তা সে ক্রিকেটই হোক বা দাবা। আর যে খেলায় মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হয় তা কী করে হারাম হতে পারে, সেই প্রশ্নেই সরব বুদ্ধিজীবী নেটিজেনরা। একসময় দেশে খেলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার নীতিজ্ঞান দিতেন বিশেষজ্ঞরা। এবার হয়ত পরিবর্তিত সময় এবং পরিস্থিতিতে খেলাকে সাম্প্রদায়িকতা থেকেও দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Shatranj Ke Khilaadi #fatherson #kabirtales #instaplay

A post shared by Mohammad Kaif (@mohammadkaif87) on

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ