সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনটে অ্যাওয়ে ম্যাচে লক্ষ্য ছিল সাত পয়েন্ট। এসেছে পাঁচ। ট্রফির লক্ষ্যে ঘরের মাঠে যেভাবে দৌড়চ্ছিল খালিদ অ্যান্ড কোং। অ্যাওয়ে ম্যাচে গিয়েই হঠাৎ যেন স্পিড ব্রেকার এসে গিয়েছে সামনে। আর এতেই সুখী সংসারে ভাঙন। দলের বিভিন্ন ঘটনায় এতদিন মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার। শীতের শহরে গরম গরম মন্তব্যে উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
দলগঠন থেকে শুরু করে মনা-ভাস্কর। প্রথমদিন থেকেই যে সব বিষয়ে তিনি বিরক্ত, তা পরিষ্কার করে দিলেন সব। প্রথমেই বিঁধলেন দুই বিদেশি স্ট্রাইকার প্লাজা ও চার্লসকে। সরাসরি বললেন, “শেষ কয়েকবছর চতুর্থ বিদেশি নিয়ে ভুগতে হয়েছে আমাদের। আর এবার তো তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম – সবাই ভোগাচ্ছে। শুরুতেই দু’জনের নাম শুনে আঁতকে উঠেছিলাম। আমি টেকনিক্যাল লোক নই। তাও আপত্তি করেছিলাম। কিন্তু এমন জায়গা থেকে সিদ্ধান্তগুলো আসছে, সেখানে আমাদের কিছু করার থাকছে না। কোচও বলল ওরাই সেরা। নিতেই হবে। এরপর তো আর কিছু করার থাকে না। প্লাজাকে নিয়েও একই সমস্যা। এই তো চোট নিয়ে বসে আছে। এই দু’টি রিক্রুটে ব্লান্ডার হয়েছে।”
[ডোপ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পাঁচ মাস নির্বাসিত পাঠান, কবে শেষ শাস্তির মেয়াদ?]
গত মরশুমে মরগ্যান বিদায়ের পর মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, তুষার রক্ষিতদের দলের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খালিদ তাঁদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করা তো দূর, সৌজন্যমূলক কথাও বলতেন না। তাই একে একে সরে দাঁড়িয়েছেন সবাই। এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল সচিব বললেন, “বিষয়টা দুঃখজনক। ওঁরা আমাদের সম্পদ। সংবাদমাধ্যমে যা দেখেছি তাতে ওঁরা অপমানিত হয়েছেন। আত্মিকভাবে এতটাই দূরে সরে গিয়েছেন যে ফেরার অনুরোধ করার জায়গাটাও আর নেই।”
এসবের মাঝেই অবশ্য মঙ্গলবার শহরে ফিরেছে দল। পরবর্তী প্রতিপক্ষ খালিদের পুরনো দল আইজল। তাও আবার তাদের মাঠে। তার আগে যেভাবেই হোক চেনা মিথ পালটাতে বদ্ধপরিকর ইস্টবেঙ্গল। শুধু জানুয়ারিতেই নয়। মরশুম শেষেও লিগ শীর্ষ থাকতে মরিয়া খালিদ অ্যান্ড কোং। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে খালিদের গোলের পরই হঠাৎ ডিফেন্সিভ হয়ে যাওয়ার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বাইরের বিষয়ে কিছুতেই মাথা গলাতে নারাজ খালিদ মিঞা। পাহাড় থেকে লিগে ফেরার অক্সিজেন নিয়ে সমতলে ফেরাকেই পাখির চোখ করছেন তিনি।