সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যিই কি কোর্টকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি? বৃহস্পতিবার মার্টিনা হিঙ্গিসের বিদায় নিয়ে যত না কৌতূহলী ছিল টেনিস বিশ্ব, তার থেকে বেশি আগ্রহ ছিল তিনি সত্যিই অবসর নিচ্ছেন কিনা, তা জানার। কারণ এক-দুই নয়, এই নিয়ে টেনিস কেরিয়ারে তৃতীয়বার অবসর ঘোষণা করলেন সুইস কিংবদন্তি।
এককালে মিক্সড ডাবলসের কোর্টে নেমে একসঙ্গে ঝড় তুলতেন রজার ফেডেরার ও হিঙ্গিস। টেনিসের সেই সুবর্ণ যুগে ২০০১ সালে হপম্যান কাপ ঘরে তুলেছিল সুইস জুটি। বিশ্ব টেনিসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে হিঙ্গিসের নাম। কিন্তু তাঁর বিদায়ে দুঃখিত নন ফ্রেডি। বলছেন, বছরের শুরুতে একবার শুনেছিলেন হিঙ্গিস নাকি বিদায় নিচ্ছেন। আবার গত সপ্তাহে জানতে পারেন সিঙ্গাপুরে চলতি ডব্লিউটিএ ফাইনালসের পর ব়্যাকেটটি তুলে রাখবেন তিনি। বরং স্বদেশি সতীর্থর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফেডেরার স্বীকার করে নিচ্ছেন যে হিঙ্গিসই তাঁকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হতে হয়। ১৯টি গ্র্যান্ড স্লামের একমাত্র মালিক ফেডেরারের বক্তব্য, “মার্টিনার মতো প্রতিভা পাওয়া সুইজারল্যান্ডের সৌভাগ্য। আমরা সবাই তাঁকে নিয়ে গর্বিত। হপম্যান কাপে একসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ওঁর পাশে খেলার সময় একটা আলাদা আনন্দ পেতাম। ওঁর থেকেই শিখেছিলাম কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে হয়। তাই মার্টিনার অবসরের খবরে দুঃখিত নই। কারণ নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে টেনিসকে তিনি অনেককিছু দিয়েছেন। এটা একান্ত তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। আর আমি প্রথম থেকেই ওঁর ভক্ত ছিলাম এবং থাকব।”
[ব্র্যান্ড ভ্যালুর নিরিখে মেসিকেও ছাপিয়ে গেলেন বিরাট]
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা, লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে জুটি বেঁধে গ্র্যান্ড স্লাম থেকে শুরু করে জিতেছেন একাগুচ্ছ ট্রফি। তাই মার্টিনাকে নিঃসন্দেহে মিস করবেন তাঁরাও। ১৯৯০-এর টিনেজ সুপারস্টার থেকে বছর কুড়ি পর ডাবলসে বিশ্বের এক নম্বর তারকা হয়ে ওঠা- কেরিয়ারের প্রতিটি শিখরেই পৌঁছেছেন তিনি। ২০০৩-এ মাত্র ২২ বছর বয়সে চোটের কারণে কোর্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লামের মালকিন। ফিরেছিলেন অবশ্য শীঘ্রই। আবার ২০০৭ সালে ডোপ টেস্টে ফেল করায় বিদায় ঘোষণা করেন। কিন্তু টেনিসের প্রতি অদম্য ভালবাসা তাঁকে আবার আকর্ষণ করে। তবে নতুন করে যেন পাওয়ার আর কিছু নেই তাঁর। তাই অবসর ঘোষণার সময় বলছিলেন, “এবার মনে হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছি। কারণ এর আগে যখনই বিদায় নেওয়ার কথা জানিয়েছি, মনে হয়েছে যেন আবার ফিরতে পারি। আর যে কোনও ব্যক্তিই সাফল্যের মধ্যে থাকাকালীনই অবসর নিতে চান। সেক্ষেত্রে এমন দুর্দান্ত মরশুম আমার অবসরের জন্য পারফেক্ট।”