Advertisement
Advertisement

আসিফার পাশে দাঁড়িয়েও বিদ্রুপের শিকার সানিয়া, পালটা দিলেন তারকা

নেটিজেনদের কী জবাব দিলেন তিনি?

Sania Mirza slams trolls who said she supported Asifa for being a Muslim
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 13, 2018 6:38 pm
  • Updated:July 13, 2018 5:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঠুয়ায় আট বছরের আসিফাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। মর্মান্তিক এমন ঘটনার নিন্দা করে টুইটারে সরব হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কট্টরপপন্থীদের রোষের মুখে পড়তে হল হায়দরাবাদি তারকাকে। নেটিজেনদের ক্ষোভ, শুধুমাত্র মুসলিম বলেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। যার পালটা দিলেন সানিয়াও।

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আসিফাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ঘটনার নিন্দা করে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনাতে যেন রাজনীতির রং না লাগানো হয়। তারই মধ্যে মধ্যপ্রদেশের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ও রাজ্য সভাপতি নন্দকুমার সিং চৌহ্বান বলে বসেন, আসিফা গণধর্ষণের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের হাত। যাতে আগুনে ঘি পড়ে। ঘটনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন সানিয়াও। তারপরই তাঁর প্রতিক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।

Advertisement

[‘আমি হিন্দুস্তান, আমি লজ্জিত’, শিশুদের বাঁচাতে পোস্টারে প্রতিবাদ নাগরিকদের]

অনেকেই কটাক্ষ করেন, দেশে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কাঠুয়া নিয়েই সরব হয়েছেন খেলোয়াড়। অর্থাৎ শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের নাবালিকার সঙ্গেই এমনটা হয়েছে বলে প্রতিবাদে মুখর সানিয়া। নিন্দুকদের এমন কথার পালটা দিতে ছাড়লেন না টেনিস তারকা। তিনি লেখেন, শুধু আসিফা নয়, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশে ঘটে চলা প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনারই প্রতিবাদ করেছেন তিনি। নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “কীভাবে একজন বলতে পারেন, যে আমি শুধু আট বছরের মুসলিম মেয়ের সমর্থনে কথা বলেছি? কোনও হিন্দুর জন্য নয়? আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, যে কোনও ধর্মের মানুষের যে কোনওরকমের অপরাধই মেনে নেওয়া যায় না। উত্তরপ্রদেশ হোক বা কাশ্মীর কিংবা অসম, যেখানেই ধর্ষণের মতো এমন জঘন্য অপরাধ ঘটুক না কেন, নির্যাতিতা যেন সুবিচার পায়। অপরাধের সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণের কোনও সম্পর্ক নেই। পাকিস্তানের বধূ হিসেবে কিংবা ভারতীয় হিসেবে নয়, এককজন মানুষ হিসেবে এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া গ্রাম থেকে আসিফাকে অপহরণ করে একদল দুষ্কৃতীরা। ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে ছিল স্থানীয় পুলিশকর্মীরাও। ছিল দুই নাবালকও। দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করে শেষে খুন করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সাঞ্জি রামের লক্ষ্য ছিল, রাসসানা এলাকা থেকে বাখরেওয়াল সম্প্রদায়কে হটানো। আর তাই বাখরেওয়াল সম্প্রদায়ের আসিফাকে শিকার বানিয়ে বাকিদের মনে ভয় ধরাতে চেয়েছিল। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

[‘ধর্ষকদের আড়াল করতে জাতীয় পতাকা! এটা কি দেশদ্রোহিতা নয়?’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ