সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই লিগ যত গড়িয়েছিল খালিদ জামিলের একগুঁয়েমিতে ততই বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন ক্লাব কর্তারা। অনেক আশা-ভরসা করে তাঁকে কোচ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৪ বছর আই লিগ জয়ের খরা কাটাতে পারেননি গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ। ফলে বারবার ‘গো-ব্যাক খালিদ’ স্লোগান তুলেছেন সমর্থকরা। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও নেরোকার সঙ্গে ড্র হয়। তাই রানার্স-আপ হওয়াও হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। সবমিলিয়ে লাল-হলুদে খালিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সোমবার ক্লাব কর্তাদের বৈঠকের পর ডানা ছেঁটে ফেলা হল লাল-হলুদ কোচের।
এদিন সন্ধেয় ক্লাবে আলোচনায় বসেন ইস্টবেঙ্গলের সভাপতি, সচিব-সহ অন্যান্য কর্তারা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, আসন্ন সুপার কাপে দলের টিডি হবেন সুভাষ ভৌমিক। অর্থাৎ কোচ হিসেবে খালিদকে আপাতত রেখে দেওয়া হলেও তাঁর কাজের পরিধি বেঁধে দেওয়া হল। আই লিগেও এভাবেই মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে দলের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে খালিদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন কর্তারা। যাতে একসময় বিরক্ত হয়ে তিনি নিজেই বিদায় নেন। কিন্তু তেমনটা হয়নি। হাজার সমালোচনা সহ্য করেও মাটি কামড়ে পড়েছিলেন খালিদ মিঞা। শোনা যাচ্ছিল, সুপার কাপে কোচ হিসেবেও ক্লাব কর্তাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যই। কিন্তু ময়দানের মনাদা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বলেই আর দায়িত্ব নিতে চান না। তবে খালিদ কোচের পদে বহাল থাকলে যে মনোরঞ্জন তাঁর পাশে কাজ করতে অনিচ্ছুক, সে কথাও শোনা যাচ্ছিল। সেই কারণেই সুভাষ ভৌমিককে টিডির পদে আনার সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ সরাসরি খালিদকে ছেঁটে না ফেললেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েই যেন ফের কর্তারা তাঁকে বাইরের পথ দেখিয়ে দিতে চাইলেন।
খালিদ অবশ্য কোনওভাবেই ক্লাব ছাড়তে চান না। আই লিগের খারাপ ফলের সব দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দলকে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন করার প্রতিজ্ঞাও করেছেন তিনি। বলেছিলেন, “ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করাতে পেরে আমি খুশি। তাই এখন পদত্যাগের কথা ভাবছি না। সামনে সুপার কাপ রয়েছে। সেখানে দলকে ট্রফি এনে দেওয়াই আমার কাজ।” কিন্তু টিডি হিসেবে সুভাষ ভৌমিক থাকলে, তাঁর ক্ষমতা যে অনেকটাই কমে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। এবার দেখার, ক্লাবের এই সিদ্ধান্তের পর খালিদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.