Advertisement
Advertisement

আইপিএল ৯ থেকে ৯ রান দূরে থমকাল বিরাট-রথ

নবম আইপিএল খেতাব হায়দরাবাদের। কিন্তু এই আইপিএল-এর ইউএসপি অবশ্যই বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যখন ক্রিকেটপ্রেমীরাও কুড়ি-বিশের লড়াই দেখে ক্লান্ত, তখন এই মানুষটিই আইপিএল-এ সতেজ হাওয়া নিয়ে এলেন। অক্সিজেন পেল টুর্নামেন্ট।

Sunrisers Hyderabad won by 8 runs against RCB
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 30, 2016 12:49 am
  • Updated:August 21, 2020 3:15 pm

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ – ২০৮/৭ (ওয়ার্নার ৬৯, যুবরাজ ৩৮, কাটিং ৩৯)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর – ২০০/৭ (গেইল ৭৬, কোহলি ৫৪)
৮ রানে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুর্নামেন্টের শুরুতে হেভিওয়েট দলের মধ্যে তাদের একেবারেই ধরা হয়নি। দলে মহেন্দ্র সিং ধোনি, এবি ডেভিলিয়ার্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো বড়সড় নামের ক্রিকেটারও ছিলেন না। ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই বাইশ গজের লড়াইয়ে নেমেছিল তারা। একটার পর একটা ম্যাচ জিতে প্লে-অফে পৌঁছেছে। এমনকী গুজরাত ও কলকাতাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা হায়দরাবাদকেও ফেভরিট হিসেবে গণ্য করা হয়নি। ঘরের মাঠে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোম্পানিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাতে কী যায় আসে! লড়াইটা তো ব্যাট বলের। আর সেখানেই লেটার মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ হল হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরুতে মাঝরাতে সূর্যোদয় হল। ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমা গায়ে চাপিয়ে শেষ হাসি হাসলেন আন্ডারডগরাই। প্রথমবার ট্রফি ঘরে তুলল নতুন করে সেজে ওঠা হায়দরাবাদ।
এবারের আইপিএল-এ যদি সেরা নেতাদের তালিকা তৈরি করা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে যে নামটা সবচেয়ে উপরে থাকবে, তা হল ডেভিড ওয়ার্নার। তারকাখচিত দল না নিয়েও কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়, তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। রবিবারও অজি ব্যাটসম্যানের নেতৃত্ব অনেক শিক্ষা দিয়ে গেল। টুর্নামেন্টের প্রায় ৮০ শতাংশ ম্যাচেই দেখা গিয়েছে, যে দল রান তাড়া করেছে, তারাই জয়ী। কিন্তু এদিন টস জিতে ওয়ার্নারের প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটাও সঠিক প্রমাণিত হল। শেষ ওভারে প্রত্যেকটা বলের আগে বাউন্ডারি লাইন থেকে দৌড়ে এসে বোলারের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছিলেন। প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছিল তাঁর স্ট্র্যাটেজি। যোগ্য অধিনায়কের হাতেই যে এদিন ট্রফি উঠল, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না। শুধু নেতা হিসেবেই নয়, ব্যাট হাতেও দলের সর্বোচ্চ রানপ্রাপকও তিনি। যুবরাজ সিং ও কাটিংয়ের স্বল্প সময়ের ঝোড়ো ইনিংস না থাকলে অবশ্য কোহলিদের সামনে রানের পাহাড় তৈরি করা সম্ভব হত না।
নবম আইপিএল খেতাব হায়দরাবাদের। কিন্তু এই আইপিএল-এর ইউএসপি অবশ্যই বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যখন ক্রিকেটপ্রেমীরাও কুড়ি-বিশের লড়াই দেখে ক্লান্ত, তখন এই মানুষটিই আইপিএল-এ সতেজ হাওয়া নিয়ে এলেন। অক্সিজেন পেল টুর্নামেন্ট। পাঁচ বছর পর রার্নার-আপ আরসিবি-কে ভুলে গেলেও, চারটে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ৯৭৩ রানের মালিককে কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়া মনে রাখবে। একটার পর একটা ম্যাচ জিতে দলকে ফাইনালে টেনে তুলেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। কষ্টটা তাই চোখ-মুখ দিয়ে ঠিকরে বেরোচ্ছিল। ২০৮ রান তাড়া করে ২০০ রান করা সোজা কথা নয়। তবে চিন্নাস্বামীতে এদিন কাজে এল না বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনারের বিধ্বংসী ইনিংস।
অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় পরে টুর্নামেন্টের সেরা হয়ে এবারের আইপিএল শেষ করলেন কোহলি। ৩৯ রান ও দু’উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন কাটিং। সেরা ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন মুস্তাফিজুর। ২৩ টা উইকেট ঝুলিতে ভরে পার্পল ক্যাপ পেলেন ভুবনেশ্বর কুমার।

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ