Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিবারের সঙ্গে বড়দিন পালন করে ফের কট্টরপন্থীদের রোষে কাইফ

দেশ কি একটুও এগোলো?

Trolls target Mohammad Kaif for celebrating Christmas
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 26, 2017 9:52 am
  • Updated:December 26, 2017 10:27 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিসমাস মানে তো খ্রিস্ট ধর্মাবিলম্বীদের উৎসব। কোনও মুসলিম ধর্মের ব্যক্তি কি তা পালন করতে পারেন? মহম্মদ কাইফ বড়দিন পালন করে কাজটা ভাল করেননি। প্রাক্তন এই জাতীয় ক্রিকেটারের উপর ফের ক্ষোভ উগরে দিল মুসলিম কট্টরপন্থীরা।

স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে জমিয়ে বড়দিন সেলিব্রেট করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। ক্রিসমাস ট্রি থেকে সান্তা ক্লজের দেওয়া গিফ্ট, সবই সাজানো রয়েছে বাড়িতে। আর সন্তানদের জন্য সান্তার টুপি পরে নিজেই ইচ্ছে পূরণের দূত হয়ে উঠেছেন। সপরিবারের সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কাইফ। ব্যস, কট্টরপন্থীদের সমালোচনা আর বিদ্রুপের মুখে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। সব কাজ ছেড়ে কাইফের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে অনেকেই। মুসলিম সম্প্রদায়ের একাধিক নেটিজেনের দাবি, বড়দিন সেলিব্রেট করে ইসলামবিরোধী কাজ করেছেন কাইফ

Advertisement

[বিয়ে করতে গিয়ে ব়্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হল বিরাটের]

tweet

Advertisement

অনেকে আবার প্রাক্তন ক্রিকেটারের ছবিকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তিনি যীশু খ্রিস্টকে আল্লাহর থেকে এগিয়ে রেখেছেন? অন্য এক নেটিজেনের প্রশ্ন, মুসলিমদের টুপি না পরে কেন তাঁর মাথায় সান্তার টুপি শোভা পাচ্ছে! এমনই অদ্ভুত প্রশ্নবাণে বিদ্ধ ২০০২-এর ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ ফাইনালের নায়ক। তবে অনেকেই এ বিতর্কে কাইফের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারকার প্রশংসা করে বলেছেন, এমন সুন্দরভাবে বড়দিন উদযাপন করে তিনি প্রকৃতি মানুষ হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন।

tweet1

তবে এটাই প্রথমবার নয়। চলতি বছর নেটদুনিয়ায় বেশ কয়েকবার কট্টরপন্থীদের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয়েছে কাইফকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সূর্য নমস্কারের ছবি পোস্ট করে তীব্র সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কাইফ জানিয়েছিলেন, শরীর গঠনের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যায়াম এটি। তারপরই শুরু হয় সমালোচনা। তাঁকে বলা হয়, সূর্য প্রণাম মুসলিম ধর্মবিশ্বাসের বিরোধী। তাই এ নিয়ে এতো কথা বলা তাঁর উচিত হয়নি। ইসলামে সূর্য নমস্কার নিষিদ্ধ বলেও জানান জনৈক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ছেলের সঙ্গে দাবা খেলার ছবি পোস্ট করেও অনলাইনে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল মহম্মদ কাইফকে৷ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দাবি ছিল, দাবা খেলা আসলে হারাম৷ তাই এমন কাজ ইসলাম বিরোধী। আরও একটা বছর কেটে গেল। দেশ কি একটুও এগোল? কাইফের এই ঘটনা বছর শেষে এ প্রশ্নটা তুলে দিয়ে গেল।

[OMG! আঘাতের ভয়ে হেলমেট পরেই বোলিং করলেন এই বোলার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ