অরিঞ্জয় বোস ও সোম রায়: কার্যত একপেশেভাবেই মোহনবাগান নির্বাচনে জয় পেল টুটু বোস শিবির। টুটু প্যানেলের প্রার্থীদের কাছে একপ্রকার পাত্তাই পেলেন না অঞ্জন গোষ্ঠীর প্রার্থীরা। ভোট গণনার শুরু থেকেই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাতে শুরু করেন প্রাক্তন সভাপতির গোষ্ঠীর প্রার্থীরা। সৃঞ্জয়, দেবাশিস, সত্যজিতদের কাছে বড় ব্যবধানে পরাস্ত হলেন অশোক গুছাইত, মদনমোহন দত্ত, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তৃতীয় রাউন্ড গণনার পরই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় কারা জিততে চলেছে। চূড়ান্ত গণনার পরও সেই ধারাই অব্যাহত থাকল। রেকর্ড ভোটে জিতলেন সৃঞ্জয়। জেতার পর তিনি বলেন, “এটাই অরাজকতার বিরুদ্ধে সমর্থকদের জবাব। টুুটু বোসকে যে অপমান করা হয়েছিল, সমর্থকরা ভোটবাক্সে তার উত্তর দিয়েছেন।”
ইঙ্গিত আগেই ছিল। বন্ধুত্বের খাতিরে অঞ্জন মিত্র নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে অঞ্জন শিবির। সোহিনী মিত্রদের শিবিরের অন্য একজন প্রার্থীও নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাছাড়া অঞ্জন সরে যাওয়ায় আগেই সচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন টুটু বোস। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ফলে এদিন, টুটু শিবিরের ২১ এবং অঞ্জন শিবিরের ২০ জন-সহ মোট ৫০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল। আর তাতে একপেশেভাবে সাফল্য পেলেন সৃঞ্জয় বোস, দেবাশিষ দত্ত, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
[সহজ জয় দিয়েই আই লিগ অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের]
ভোটের আগে টুটু শিবির যেভাবে প্রচারে ঝড় তুলেছিল তাতেই বোঝা গিয়েছিল ফলাফল তাদের পক্ষেই যেতে চলেছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের এবং ব্যারেটোর মতো তারকারা গলা ফাটিয়েছিলেন প্রাক্তন সভাপতির হয়ে। সে তুলনায় অঞ্জন শিবির অনেকটাই নিস্প্রভ ছিল। ভোটের দিন সকালেও দেখা গেল একই ছবি। টুটু শিবিরের সমর্থকরা যেখানে শুরু থেকেই উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন সেখানে অঞ্জন শিবিরে খুব একটা ভিড় চোখে পড়েনি। তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অবধারিত ফলাফলের দিকে এগোচ্ছে মোহনবাগান নির্বাচন। জয়ের ফলে স্বভাবতই খুশি টুটু বোস সমর্থকরা। তাঁরা বলছেন, ফের যোগ্য কাণ্ডারির হাতেই উঠল মোহনবাগানের পাল।