চলতি আইপিএল-এ ফের গড়াপেটার ছায়া, গ্রেপ্তার তিন বুকি

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাসন কাটিয়ে আগামী বছর আইপিএল-এ ফেরার কথা পুরনো দুই দল রাজস্থান ও চেন্নাইয়ের৷ চলতি টুর্নামেন্ট শেষেই বিদায় নেবে পুণে এবং গুজরাট৷ আর তার আগে ফের চলতি ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পড়ল গড়াপেটার ছায়া৷

গত বুধবার কানপুরে গুজরাট লায়ন্স বনাম দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ম্যাচে গড়াপেটার অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হল তিন বুকিকে৷ জানা গিয়েছে, সুরেশ রায়না ও জাহির খানদের দল যে হোটেলে ছিল, সেই হোটেলে বসেই বেটিংয়ে ব্যস্ত ছিল ওই তিনজন৷ কানপুরের সিনিয়র এসপি আকাশ কুলহারি জানান, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের দুর্নীতিদমন ও নিরাপত্তা শাখার তরফেই প্রথমে খবর দেওয়া হয় যে টিম হোটেলেই বেটিং চক্র চলছে৷ তারপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচতারা হোটেলের ১৮ তলার একটি ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিন বুকিকে৷ মহারাষ্ট্রের নয়ন শাহ এবং পুখরায়নের বিকাশ কুমারকে ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরেক বুকি রমেশ কুমার গ্রেপ্তার হয় গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম থেকে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, রমেশের কাজ ছিল হোটেলে থাকা দুই বুকিকে স্টেডিয়াম ও পিচের সমস্ত আপডেট দেওয়া৷ রমেশের থেকে বাজেয়াপ্ত করা মোবাইলে পিচের একাধিক ছবিও পাওয়া গিয়েছে৷ সেই মতো বেটিংয়ে টাকা ঢালা হত৷ হোটেলের ঘর থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা, চারটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷

[‘আমি যেন সেই সিইও যে টিমকে ডুবিয়ে দিল’]

বিসিসিআই-এর দুর্নীতিদমন শাখা সূত্রে খবর, রমেশ নাকি তার সহযোগীদের বলেছিল, মাঠের গ্রাউন্ডম্যানদের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে৷ প্রয়োজন মতো পিচে বেশি জল ঢালিয়ে উইকেট বিকৃতির ব্যবস্থা করতেই পারে সে৷ যদিও সেদিন দিল্লির বিরুদ্ধে ১৯৭ রান তুলেছিল গুজরাট৷ সেই রান আবার তাড়া করে জিতেও গিয়েছিল দিল্লি৷ বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখা লাগাতার সন্দেহভাজনদের উপর কড়া নজর রেখে চলেছে৷ গ্রেপ্তার করা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷

[আইজলের সঙ্গে ড্র, রানার্স হয়েই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল]