দেবাশিস সেন, ক্যান্ডি: এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক একদিন ভারতীয় দলের এক একজন ক্রিকেটার যেন স্টার হয়ে উঠলেন। ব্যাট হাতে হার্দিক পাণ্ডিয়া যখন সেঞ্চুরি করে ১১ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙছেন, তখন মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই লঙ্কাবাহিনীকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ সারছেন মহম্মদ শামি, উমেশ যাদবরা। তাই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘরের দলকে হোয়াইটওয়াশ করার পর নিজের টিম নিয়ে উচ্ছ্বসিত নেতা বিরাট কোহলি।
[শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস টিম ইন্ডিয়ার]
ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই দেখার মতো পারফর্ম করেছে টিম ইন্ডিয়া। বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তারা টেস্টের এক নম্বর দল। ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগেই শতরান হাঁকিয়েছিলেন হার্দিক। দলে সুযোগ পাওয়াকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণ তুর্কি। তাঁর পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি ক্যাপ্টেন কোহলি। সোমবার ৩-০ সিরিজ জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ওর পারফরম্যান্সই সব কথা বলে দিয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে। ওর উপর আমার ১২০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে।” হার্দিকের মতোই শামি ও উমেশের দুর্দান্ত বোলিংয়েরও প্রশংসা শোনা গেল বিরাটের গলায়। বলেন, গত দু’বছর ধরে ভাল ফর্মে রয়েছেন তাঁরা। ঘরের মাটিতেও ভাল খেলেছেন। আর উইকেট তুলে নেওয়ার নিরিখে বিশ্বের প্রথম তিনে থাকবেন শামিকে।
[রিয়ালকে জিতিয়েও ১২ ম্যাচ নির্বাসনের মুখে রোনাল্ডো]
শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছেন বিরাটরা। যা এর আগে ভারত কখনও করতে পারেনি। মাহেলা জয়বর্ধনে নিজের দলের সমর্থনে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, এই লঙ্কাবাহিনীতে রঙ্গনা হেরাথ, জনিত, অজন্তা মেন্ডিসের মতো তারকারাই নেই। সেই কারণেই সহজে জয় পাচ্ছে ভারত। পরবর্তীকালে বিপক্ষকে সাবধান থাকতে হবে। কিন্তু ভারতীয় সমর্থকরা এসব যুক্তি মানতে নারাজ। কারণ, মাঠের লড়াইয়ের ফল ৩-০। আর বর্তমানে সেটাই সত্যি। টিম ইন্ডিয়ার এই দুর্দান্ত ফর্মের চাবিকাঠি কী? বিরাট বলছেন, “প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিবার মাঠে নেমেছি। সেটাই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। আর সে কাজে অবদান রয়েছে দুর্দান্ত কয়েকজন ব্যাটসম্যান ও বোলারের। তবে ক্যান্ডি টেস্টে ইনিংস ও এত বড় ব্যবধানে জয়ের পিছনের অন্যতম ফ্যাক্টর অবশ্যই টস জেতা।” সব মিলিয়ে ভারতের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর সফরটা যে স্মরণীয় হয়ে রইল, তা বলাইবাহুল্য। আর নেতা হিসেবে মাঠেই সমালোচকদের জবাব দিয়ে দিলেন কোহলি।