Advertisement
Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবল খরা, উইকেটের বাউন্স নিয়ে সংশয়ে পিচ কিউরেটর

কোহলিদের জন্য আশার খবর।

Worst South Africa drought may lead to lack of bounce
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 1, 2018 1:17 pm
  • Updated:January 2, 2018 3:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে গিয়েছে কোহলি অ্যান্ড কোম্পানি। ৫ জানুয়ারি থেকে প্রথম টেস্ট কেপটাউনে নিউল্যান্ডসে। আর টেস্টে বল গড়ানোর আগেই কোহলিদের জন্য সুখবর। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবল খরার কারণে এবার নিউল্যান্ডসে কতটা বাউন্স রাখা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ পিচ কিউরেটররাই। আর সত্যি যদি সেটা হয়, তাহলে যে ভারতীয় ব্যাটসম্যান বাড়তি সুবিধা পাবেন, তা বলাই বাহুল্য।

[জানেন, কেন দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনও অনুশীলন ম্যাচ খেলেননি কোহলিরা?]

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকায় সবুজ পেস-সহায়ক পিচে বরাবরই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ভারত। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা। উপমহাদেশের স্লো পিচে খেলতে অভ্যস্ত ভারতীয়রা। তাই সবুজ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ব্যাটারির সামনে একেবারেই স্বচ্ছন্দ নন তাঁরা। বস্তুত, গত ২৫ বছরে অ্যালান ডোনাল্ডের দেশে একটিও টেস্ট জিততে পারেনি ভারত। ২০১০-১১ মরশুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল ধোনির ভারত। এখনও পর্যন্ত সেটাই সেরা ফল। তবে এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টে খারাপ পারফরম্যান্সের ইতিহাস বদলে দেওয়ার সুযোগ পেতে পারে কোহলির ভারত। বহু বছর পর এবার প্রবল খরার কবলে পড়েছে নেলশন ম্যান্ডেলার দেশ। পরিস্থিতি এতটাই করুন, যে নাগরিক পিছু দিনে ৮৭ লিটারের বেশি জল ব্যবহার না করার নির্দেশ জারি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। ফলে ক্রিকেট মাঠেও যথেষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই কেপটাউনে প্রথম টেস্টে ম্যাচে পিচে প্রত্যাশিত বাউন্স নাও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পিচ প্রস্তুতকারক ইভান। তিনি বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামের নলকূপ থেকে রোজই পিচে জল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, আউটফিল্ডে সপ্তাহে দু’বারের বেশি জল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আউটফিল্ড শুকনো থাকবে। আমরা যেরকম ঘাস আশা করে থাকি, এবার সেটা নাও দেখা যেতে পারে। উইকেটে তাজা ও পাতলা ঘাস রাখাটাই এখন চ্যালেঞ্জ। সেটা করা গেলেই উইকেট থেকে পেসাররা সাহায্য পাবেন।’  তবে তাঁর সংযোজন, ‘সবাই কী চাইছে, আমরা জানি। উইকেটে তাজা ঘাস রাখার চেষ্টা করছি। উইকেট শক্ত রাখারও চেষ্টা চলছে। নিয়মিত রোল করা হচ্ছে। শুরুতে পিচ থেকে বোলাররা সাহায্য পাবেন। তবে ওয়ান্ডারার্স বা সেঞ্চুরিয়নের মতো পিচ হবে না।’ এই খবরে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন কোহলিরা। তবে শেষপর্যন্ত উইকেট কেমন হবে, তা প্রথম টেস্ট শুরু হলেই বোঝা যাবে।

Advertisement

[জানেন, বিরুষ্কার রিসেপশনে কী রিটার্ন গিফট পেলেন অতিথিরা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ