জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়: ভোটে লড়াই করতে গেলে নিজেদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। বেশ কয়েক বছর আগে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন এই প্রস্তাব দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্বাচনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তাঁদের হলফনামা পেশ করে নিজেদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে৷ যার মধ্যে থাকবে সম্ভাব্য প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ এবং তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা-সহ বিভিন্ন বিষয়৷
[অর্ধনগ্ন হয়ে ক্লাসের মধ্যে নাচ, গারদে শিক্ষিকা]
প্রথম দিকে কমিশনের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা হয়েছিল। তবে তাতে লাভ হয়নি। কমিশনই জেতে। অবশ্য কমিশন জিতলেও লাভের লাভ কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু জানেন কী মনোনয়নপত্র পেশের সময় প্রার্থীরা যে হলফনামা পেশ করেছেন তা থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ বিধায়ক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। মানে ১৪৩ জন নয়া বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এর মধ্যে আবার ২৬ শতাংশ মানে ১০৭ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের মামলা।
[ধরনায় বসেছিলেন নেতা, পাঁজাকোলা করেই তুলে নিয়ে গেল পুলিশ]
সূত্রের খবর, সদ্যসমাপ্ত উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে প্রতি চার জন নবনির্বাচিত বিধায়কের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন বা ধর্ষণের মতো গুরুতর মামলা। গুরুতর অপরাধের মামলা বলতে খুন, ধর্ষণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, নিগ্রহ, অপহরণ, সরকারি অর্থ তছরুপের মতো জামিন অযোগ্য অপরাধের অভিযোগ৷এই অভিযোগ প্রমাণ হলে তাঁদের পাঁচ বছরের জেলও হতে পারে। আটজন বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের এবং ৩৪ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা ঝুলছে৷ সমীক্ষা বলছে, নতুন বিধায়কদের মধ্যে বিজেপির সর্বোচ্চ ৮২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে৷ এর পর পর্যায়ক্রমে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, কংগ্রেস ও নির্দল বিধায়করা৷
[পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করবে ভারত: রাজনাথ]