Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘চায়ে পে চর্চা’র ঝাঁপ বন্ধ মোদির রাজ্যে

পুরসভার বক্তব্য মানলে মোদি এবং বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব যখন সেখানে ‘চায়ে পে চর্চা’র আয়োজন করেছিলেন, তখনও বেআইনিভাবেই দোকানটি ব্যবহার করা হচ্ছিল৷

Ahmedabad tea stall where Modi held 'Chai pe Charcha' shuts down
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 23, 2016 9:21 am
  • Updated:August 23, 2016 9:21 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা বছর দু’য়েক আগের। লোকসভা নির্বাচন প্রায় নাকের ডগায়৷ কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার বুঝে গিয়েছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে। ঠিক তেমন সময়েই গুজরাতের এক ছোট্ট চায়ের দোকানে আয়োজিত হয়েছিল ‘চায়ে পে চর্চা’৷ চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদির সঙ্গে জনতার ভাব বিনিময়ের অনুষ্ঠান৷ এর পর বছর ঘুরেছে৷ বহু পাঁচ তারা, সাত তারা হোটেলের বলরুম কিংবা বাগানে ভিআইপিদের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু, গুজরাতের জনতা ভুলতে পারেনি সেই প্রথম চায়ের দোকানের আড্ডাটি৷ ফলে ভিড় বেড়েছে৷ অখ্যাত চায়ের দোকানের বেড়েছে খ্যাতি৷ আর সেই খ্যাতির বিড়ম্বনাতেই উঠে যেতে বসেছে দোকানটি৷
আমেদাবাদের সরখেজ-গান্ধীনগর হাইওয়ের পাশে আটটি দোকানের একটা জটলা রয়েছে৷ তারই একটি সাক্ষী নরেন্দ্র মোদির প্রথম ‘চায়ে পে চর্চা’র৷ নাম ‘ইস্কন গাঁঠিয়া’৷ কিন্তু, সে নাম কবেই ভুলেছে আমেদাবাদের মানুষ৷ গত দু’বছরে এই চায়ের দোকানটি পরিচিত হয়েছে নমো (নরেন্দ্র মোদি) টি-স্টল নামে৷ আমেদাবাদের পুরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, উপযুক্ত পার্কিং লট না থাকায় দোকানটি সমস্যা সৃষ্টি করছে হাইওয়েতে৷ রাস্তার পাশে দাঁড় করানো গাড়ি অন্য গাড়ি যাতায়াতের সমস্যা তো বাড়াচ্ছেই, সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও৷ বার বার বলা সত্ত্বেও দোকানের মালিক পার্কিং লটের জায়গা বাড়াননি৷ তাই শেষমেশ বাধ্য হয়েই দোকানটিকে সিল করে দিয়েছে পুরসভা৷ সেই সঙ্গে জানিয়েছে গত চার বছর ধরে বিল্ডিং ইউজ পারমিশন ছাড়াই বেআইনিভাবে ওই দোকানে ব্যবসা চালানো হচ্ছিল৷ আর তাই দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
‘ইস্কন গাঁঠিয়া’তে প্রথম ‘চায়ে পে চর্চা’র আয়োজন হয় ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি৷ পুরসভার বক্তব্য মানলে মোদি এবং বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব যখন সেখানে ‘চায়ে পে চর্চা’র আয়োজন করেছিলেন, তখনও বেআইনিভাবেই দোকানটি ব্যবহার করা হচ্ছিল৷ তবু, সে সময় কেন এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ