Advertisement
Advertisement

Breaking News

এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসবে চিন

পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তারা আলোচনায় রাজি৷ 

China will talk about India’s NSG membership
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 11, 2016 10:36 am
  • Updated:October 11, 2016 11:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামাবাদ-বেজিং ‘সমঝোতা’ ফের প্রকাশ্যে৷

পাকিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে ভারত-সহ তামাম আন্তর্জাতিক দুনিয়া যতই সরব হোক, বেজিং ফের একবার এই ইস্যুকে নয়াদিল্লিকে আক্রমণ করে ইসলামবাদের পাশে৷ চিনের বিরোধিতার ফলেই জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান আজহার মাসুদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রস্তাব কার্যকর হয়নি৷ এবার বেজিং আরও এককদম এগিয়ে দাবি তুলল, সন্ত্রাস মোকাবিলার নামে ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলার চেষ্টা করলে তারা বিরোধিতা করবে৷ তাদের এই মন্তব্য যে নয়াদিল্লির উদ্দেশেই তাতে কূটনৈতিক মহলের কোনও সন্দেহ নেই৷ যদিও বেজিং একইসঙ্গে জানিয়েছে, পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তারা আলোচনায় রাজি৷

Advertisement

১৫, ১৬ অক্টোবর গোয়ায় ব্রিকস শিখর সম্মেলন৷ ভারত, ব্রাজিল, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়ার শীর্ষ প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে যোগ দেবেন৷ ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ তাঁর এই ভারত সফরের আগেই একদিকে যেমন এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিয়ে সমর্থনের কথা, অন্যদিকে সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানো কূটনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ৷ চিনা বিদেশমন্ত্রী লি বাওডোং সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ৪৮ সদস্যের এনএসজি-তে নতুন সদস্য নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা দরকার৷ এ বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে৷ ব্রিকস শিখর সম্মেলনে এর কোনও রফাসূত্র মেলে কি না সে প্রশ্নের উত্তরে লি-এর মন্তব্য, প্রতিটি সদস্য দেশকে সহমতে আসতে হবে এটাই এনএসজি-র আইন৷ চিন একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷ তবে ব্রিকস সম্মেলনে এ বিষয়ে চিন যে ভারতের পাশে আছে সে কথাই তুলে ধরা হবে৷ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে গভীর ও সুষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে৷ এ বিষয়ে আগামিদিনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে৷ তাঁর দাবি, শুধু চিনের সঙ্গে নয়, এনএসজি-র প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলতে হবে নয়াদিল্লিকে৷

Advertisement

উল্লেখ্য, এনএসজি-তে সদস্যপদ না পাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে বেজিংয়ের বিরোধিতার কথা বলেছে৷ উপ-বিদেশ মন্ত্রী লি সেই প্রসঙ্গ তুলে সাফাই দিয়েছেন, “চিন যে কোনও গঠনমূলক পদক্ষেপের পক্ষে রয়েছে৷ বেজিং একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷ নয়াদিল্লি বিষয়টি ভুল বুঝেছে৷ প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন এ ক্ষেত্রে জরুরি৷ আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব৷” নয়াদিল্লিকে এনএসজি-তে সমর্থনের কথা বললেও সন্ত্রাস ইস্যুতে চিরাচরিতভাবে ইসলামাবাদকে সমর্থন জানিয়েছে বেজিং৷ এ প্রসঙ্গে উপ-বিদেশমন্ত্রী লি-এর বক্তব্য, চিন যে কোনও প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরোধী৷ কিন্ত্ত বিষয়টি নিয়ে যদি কোনও দেশ রাজনীতি করে তাও বেজিং সমর্থন করবে না৷ সন্ত্রাস মোকাবিলার নামে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে দেওয়া হবে না৷ বেজিংয়ের দাবি, ব্রিকস শিখর সম্মেলনে সন্ত্রাস দমন একটি অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে৷ প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রই এ বিষয়ে একমত যে, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে হবে৷ কিন্তু তা অবশ্যই হবে গঠনমূলক পদক্ষেপে৷ বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে সন্ত্রাস মোকাবিলা অত্যন্ত জরুরি৷ পাশাপাশি এটাও ঠিক, কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাস দমনের নামে রাজনীতির চেষ্টা করছে৷ এটা বরদাস্ত করা হবে না৷ কূটনৈতিক মহলের মতে, কোনও কোনও দেশ বলতে বেজিং আসলে ভারতের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে৷

নয়াদিল্লির মতো, ইসলামাবাদও এনএসজি-র সদস্য পদের ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছে৷ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক মাত্র দেশ চিন যারা মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ভারতীয় প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে৷ এ ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে চিনের টেকনিক্যাল হোল্ডের সাফাই নিতে গিয়ে লি বলেছেন, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদেরই বিরোধী চিন৷ কিন্তু সন্ত্রাস মোকাবিলার নামে দু’মুখো নীতি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে দেওয়া সম্ভব নয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ