Advertisement
Advertisement

Breaking News

উৎকণ্ঠার অবসান, প্রশান্ত মহাসাগরে সলিল সমাধি চিনা স্পেস স্টেশনের

ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।

Chinese space station plunges into Pacific Ocean

ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 2, 2018 10:44 am
  • Updated:June 29, 2019 5:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  উৎকণ্ঠার অবসান। ভৃপৃষ্ঠে নয়, গভীর সুমদ্রে আছড়ে পড়ল চিনা স্পেস স্টেশন তিয়ানগং। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সময় সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রশান্ত মহাসাগরে ভেঙে পড়ে স্পেস স্টেশনটি। সোমবার তিয়ানগং স্পেস স্টেশনটি ফের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েছিল। বায়ুমণ্ডলের প্রবল ঘর্ষণে কার্যত পুড়েই গিয়েছিল সেটি। যেটুকু বাকি ছিল, সেটুকু আছড়ে পড়ল প্রশান্ত মহাসাগরে। স্পেস স্টেশনের স্যাটেলাইটেও ওই চিনা স্পেস সেন্টারটি গতিবিধি ধরা পড়েছিল।

[মিসাইল টেকনোলজি ব্যবহার করে মশা খুঁজতে রাডার বানাল চিন]

Advertisement

লম্বায় ৩৪ ফুট। ওজন ৮০ টন। ২০১১ সালে মহাকাশে এই স্পেস স্টেশনটি চালু করেছিল বেজিং। এই স্পেস স্টেশনটিকে ব্যবহার করে মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহের কক্ষপথ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা ছিল চিনা মহাকাশ গবেষকদের। বস্তুত, ২০২৩ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্থায়ী স্পেস স্টেশন চালু করতে চায় চিন। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই ওই স্পেস স্টেশনটি চালু করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০১৩ সালে মধ্যে তিয়ানগং স্পেস স্টেশনটি বন্ধ করা দেওয়া হবে। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উলটে লাগাতা প্রকল্পের সময়সীমা বাড়াতে থাকে বেজিং। বছর দুয়েক আগে স্পেস স্টেশনে বড়সড় গোলযোগ ধরা পড়ে, চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীর বুঝতে পারেন, স্পেস স্টেশনটি আর কাজ করছে না। এমনকী, চিনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের সঙ্গে ওই স্পেস স্টেশনের যোগাযোগও পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত, গত বছরের ডিসেম্বরে রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে চিন জানিয়ে দিয়েছিল, চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে তিয়ানগং স্পেস স্টেশন।

Advertisement

[বিক্ষোভে উত্তাল গাজা সীমান্ত, ইজরায়েলে সংঘর্ষে মৃত অন্তত ১৭]

চিন এই বিবৃতির দেওয়ার পর থেকেই আশঙ্কার প্রহর গুনছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানী। নেট দুনিয়ায়ও বিস্তর আলোচনা চলছিল। সাধারণভাবে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্পেস স্টেশন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করারর পর প্রবল ঘর্ষণের পুড়ে যায়। ঠিক যে কারণে প্রাণ হারিয়েছিল নাসার ভারতীয় বংশোম্ভুত মহাকাশবিজ্ঞানী কল্পনা চাওলা। কিন্তু, তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে যেটুকু অংশে অবশিষ্ট থাকবে, তার অভিঘাতও কম হবে না বলেই আশঙ্কা করেছিলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তবে পৃথিবীর তেমন কোনও ক্ষতি হল না। যাবতীয় উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় সময় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ চিনা স্পেস স্টেশনে সলিল সমাধি ঘটল প্রশান্ত মহাসাগরে।

 

[পয়লা বৈশাখের আগেই আকাশছোঁয়া চাহিদা, ঢাকায় চড়া দাম ইলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ