Advertisement
Advertisement

বঙ্গ-ব্রিগেডের বিদ্রোহে ভাঙনের মুখে সিপিএম

রাজ্য নেতাদের অভিযোগ, কেরল, ত্রিপুরার মতো রাজ্যের কথা ভাবতে গিয়ে চিরকাল বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি৷

CPM Bengal brigade stands against the central committee
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 11, 2016 9:07 am
  • Updated:July 11, 2016 9:39 am

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও কলহার মুখোপাধ্যায়: জোট করা যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে রাজ্য কমিটি ভেঙে দেওয়া হোক৷ নতুন করে সম্মেলন ডেকে কমিটি গঠন হোক৷ কিন্তু কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় কমিটির যে সিদ্ধান্ত, তা মানা যাচ্ছে না৷ এমনভাবেই প্রকাশ কারাট, এমএ বেবি এবং মানিক সরকারদের হুমকি দিলেন বঙ্গ সিপিএমের নেতারা৷ শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হলেন শমীক ভট্টাচার্য, ঋতব্রত ভট্টাচার্য, মইনুল হাসান, সোমনাথ ভট্টাচার্য-সহ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ২৭ জন সদস্য৷ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের রাস্তাতে হেঁটে বিদ্রোহের পথেই গেল বঙ্গ ব্রিগেড৷ প্রয়োজনে ভেঙে দেওয়া হোক রাজ্য পার্টি বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হুমকি দিয়ে রাখলেন রাজ্য কমিটির এক ঝাঁক নেতা৷ সমঝোতার রাস্তা খুঁজতে ফের প্লেনাম ডাকার সিদ্ধান্ত নিল পার্টি৷ ৩০ সেপ্টেম্বর-২ অক্টোবর প্লেনাম হবে বাংলাতেই৷

রাজ্য নেতাদের অভিযোগ, কেরল, ত্রিপুরার মতো রাজ্যের কথা ভাবতে গিয়ে চিরকাল বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি৷ জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি৷ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়-এর মতো নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের এই ধরনের সিদ্ধান্ত আজ বাংলায় পার্টিকে ডুবিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান৷ আর এক প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কোনও অন্যায় হয়নি৷ জোট না হলে আসন সংখ্যা আরও কমে যেত৷ তাতে পার্টির কিছু শীর্ষ নেতার ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা অনিচ্ছা পূরণ হলেও বাংলার পার্টিকে খুঁজে পাওয়া যেত না৷ তার দায় কি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা নিতেন?

Advertisement

পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলার নির্বাচনী কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেতারা৷ বলেছেন, বাংলার নির্বাচনী কৌশল কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়৷ আমরা তা মনে করি না৷ শমীকের মতোই এদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তুলোধোনা করেছেন সোমনাথ ভট্টাচার্য৷ তাঁর বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্ব কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা সময়োপযোগী ছিল৷ তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে এর প্রয়োজনীয়তা ছিল৷ এর ফলে অনেক আসনেই আমাদের সাহায্য নিয়ে যেমন কংগ্রেস জয়ী হয়েছে তেমনই কংগ্রেস ভোটারদের ভোট আমাদের দিকেও এসেছে৷ নির্বাচনের ফলাফল সেই কথাই বলছে৷ ফলে কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী রণকৌশলকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ না বলে সময়োপযোগী বললে যুক্তিপূর্ণ হত৷ এদিন উত্তরবঙ্গের জীবেশ সরকার বলেন, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার এতদিন বাদেও পার্টি লাইন ভাঙা হয়েছে কি হয়নি এই নিয়ে ব্যস্ত আমরা৷ আমাদের এই রাজনৈতিক কচকচিতে নিচুতলার কর্মীরা তিতিবিরক্ত৷ এবার কেন্দ্রীয় কমিটি আন্দোলনের রূপরেখা দিন৷ এদিন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি পথে নামার বার্তা দিয়ে বলেছেন, সামনে যেহেতু কোনও নির্বাচন নেই তাই ভোটে নয়, পথে জোট করুন৷ আপত্তি নেই৷ আগামী মাসের ১৭ ও ১৮ তারিখ বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে আলিমুদ্দিন সূত্রে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ