সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের পর ক্ষমতায় আসবে কোন দল? তা নিয়ে ভোটের আগে এবং পরে চলতে থাকে একাধিক সমীক্ষা। কিন্তু এবার থেকে সেই সমীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও প্রচার করা যাবে না।
[‘হাসিনা’ হয়ে ফার্স্ট লুকেই বাজিমাত শ্রদ্ধার]
ভোটের আগে ফলাফল আঁচ করে সমীক্ষা করা বা এক্সিট পোল প্রচার করা দীর্ঘদিনের রেওযাজ। বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে এগুলি তৈরি হয়ে থাকে। সমীক্ষা কখনও মেলে, কখনওবা মেলে না। কিন্তু এই ধরনের সমীক্ষা যেহেতু সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়, তা খানিকটা হলেও প্রভাব ফেলে জনসমর্থনে। তার উপর আছে বিভিন্ন জ্যোতিষিদের ভবিষ্যৎবাণী। ট্যারট কার্ড দিয়েও ভোটের ভাগ্য গণনা করা হয়। এ নিয়ে বিস্তর ব্যবসাও চলে। তবে সবকিছুই আখেরে প্রভাবিত করে ভোটের ফলাফলকে। ফলত এই ধরনের সমীক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগও রযেছে। সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষা অনেকাংশেই ঠিক হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ খানিকটা বিভ্রান্তই হন।
[শচীন-রেখাদের পদত্যাগের দাবি উঠল রাজ্যসভায়]
কয়েকদিন আগেই দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। ভোটের পরে কোন দল মসনদে বসতে চলেছে সেই নিয়ে একাধিক সমীক্ষাও চলেছে। তাতে উঠে আসে একাধিক মতামতও। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর অনেকেই অবাক হয়ে যান। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে। সপা-কংগ্রেসের জোটের ক্ষমতায় আসার তত্ত্ব তছনছ করে বাজিমাত করে বিজেপি। ফলত এই ধরনের সমীক্ষার সারবত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এবার সে সবেই রাশ টানতে উদ্যোগী হল কমিশন। জানিয়ে দেওয়া হল, নির্বাচন চলাকালীন ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না। কোনও জ্যোতিষী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিংবা যারা কার্ড দেখে ভবিষ্যত বলে থাকেন, এরকম কারোর সাহায্যে ভোটের আগাম ফলাফল জানানোও যাবে না। এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।