Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুলের অনুষ্ঠানে আলিঙ্গন, ছাত্র-ছাত্রীকে তাড়াল স্কুল

মামলা গড়াল আদালতে।

In Kerala: Boy, girl suspended for hugging
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 17, 2017 9:02 am
  • Updated:September 19, 2019 11:37 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে গলায়-গলায় সম্পর্ক। স্কুলের এক অনুষ্ঠানে ছাত্রীটি পুরস্কৃত হয়েছিল। এমন প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেনি তার বন্ধুটি। পুরস্কার মঞ্চে সবার সামনে ছাত্রীটিকে জড়িয়ে ধরেছিল ছাত্রটি। জনসমক্ষে এমন কাণ্ড মেনে নিতে পারেনি স্কুল। সটান ছাত্রটির হাতে ধরিয়ে দেওয়া ট্রান্সফার সার্টিফিকেট। বলে দেওয়া হয় আর স্কুলে আসার দরকার নেই। মেয়েটির ক্ষেত্রে তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরলের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।

[গুজরাটে ভরাডুবি হবে দলের, অনুমান খোদ বিজেপি সাংসদেরই]

Advertisement

তিরুবনন্তপুরমের সেন্ট থমাস সেন্ট্রাল স্কুলের এই নিয়ে দক্ষিণের রাজ্যে হইচই। শুধু আলিঙ্গনের জন্য নয়, ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আরও কিছু কারণ দেখিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, আলিঙ্গনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ওই ছাত্রের উচিত হয়নি। স্কুলের আচরণবিধি ভেঙেছে। ছাত্রীটিও ঠিক কাজ করেনি। এর প্রতিবাদ করতে পারত। স্কুলটি পরিচালনা করে মার থমা চার্চ এডুকেশন সোসাইটি। ওই সংগঠনের সম্পাদক রাজন ভার্গিস জানান, ছাত্র এবং ছাত্রীটি শৃঙ্খলা ভাঙায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অনিবার্য ছিল। তাই ওই ছাত্রকে তাড়ানো হয়েছে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল থেকে বের করে দেওয়ায় বেজায় বিরক্ত ছাত্র ও ছাত্রীটির পরিবার। এই নিয়ে তারা মামলা-মোকদ্দমার পথে হেঁটেছে।

Advertisement

[আধার না থাকলে যৌনপল্লির দরজা বন্ধ, নয়া নিয়মের গেরোয় ‘খদ্দেররা’]

দুই পরিবারের অভিযোগ পেয়ে কেরলের শিশু সুরক্ষা কমিশন নড়েচড়ে বসেছে। ওই ছাত্র এবং ছাত্রীকে স্কুলে ঢোকার এবং ক্লাস করতে দেওয়ার অনুমতির কথা বলেছে কমিশন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পালটা আইনি লড়াইয়ে নামে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত কেরল হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ কমিশনের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। তবে এখনই রণে ভঙ্গ দিতে রাজি নয় দুই পরিবার। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা পালটা মামলা করছেন। ছাত্রটির পরিবার জানিয়েছে ঘটনায় ছাত্রীটি এবং তার পরিবার কোনওরকম অভিযোগ জানায়নি। তবে ছাত্র-ছাত্রীর থেকেও প্রতিষ্ঠান বড়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দুই পরিবার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ