Advertisement
Advertisement

Breaking News

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে স্তব্ধ ন্যাশনাল মেডিক্যাল

কড়া ব্যবস্থার হুমকি স্বাস্থ্য দফতরের৷

Junior doctors on strike in National Medical
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 14, 2016 3:54 pm
  • Updated:July 14, 2016 3:54 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ফের রোগীর পরিবারের হাতে প্রহৃত জুনিয়র ডাক্তার এবং তার প্রতিবাদে উত্তাল হাসপাতাল৷ এবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ৷ বুধবার রাতে চিকিৎসায় গাফিলতিতে বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা মহম্মদ কামালুদ্দিনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে৷ এরই প্রতিবাদে মারধর করা হয় এক জুনিয়র ডাক্তারকে৷ ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালে৷ এর জেরেই বুধবার রাত থেকে কাজ বন্ধ করে দেন প্রহৃত চিকিৎসকের সহকর্মীরা৷

ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ জুনিয়র ডাক্তাররা জরুরি বিভাগের গেটের সামনে ধরনায় বসে পড়েন৷ ফলে অ্যাম্বুল্যান্সও হাসপাতালে ঢুকতে পারেনি৷ ফিরিয়ে দেওয়া হয়  একের পর এক রোগীকে৷ এমনকী অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাও চিকিৎসা পাননি৷ এই নিয়ে পাল্টা ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেশ কয়েকজন রোগীর পরিবার৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ পুলিশও উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে৷

Advertisement

এদিকে চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে যোগ দিতে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, তাঁদের কোনও নিরাপত্তা নেই৷ যখন খুশি রোগীর পরিবারের লোকজন হামলা চালান৷ শুধু তাই নয়, বহিরাগতরা হাসপাতালে ঢুকে পড়ে৷ তাদের হাতেও মার খেতে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের৷ তাঁদের দাবি, বুধবার রাতের ঘটনায় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্য অভিযুক্তদের কখন ধরা হবে তা পুলিশকে জানাতে হবে৷ নিরাপত্তার জন্য বাড়তি বন্দোবস্ত করতে হবে৷ রোগীর পরিবারের লোকজন যাতে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন হঠাৎ ঢুকে পড়তে না পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ শুধু তাই নয়, নিরাপত্তায় ত্রুটি থাকলে পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে৷ এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দিচ্ছেন তাঁরা৷

Advertisement

উল্লেখ্য, এর আগে এসএসকেএম, আর জি করেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে৷ ন্যাশনাল মেডিক্যালেও আগে মারধর করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের৷ বিশেষ করে রাতের দিকে হামলার ঘটনা বেশি ঘটে৷ জুনিয়র ডাক্তার গৌরীশঙ্কর মহাপাত্রর অভিযোগ, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে মার খেতে হয়েছে৷ তাঁর কথায়, “পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলার পরও আমার উপর চড়াও হন রোগীর পরিবারের লোকজন৷” তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, যথাযথ চিকিৎসার দাবি তুলতে গিয়ে তাঁরাই বরং মার খেয়েছেন৷ এক মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে৷ ঘটনার জেরে মহম্মদ সরফরাজ ও শাবানা খাতুন নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ৷ ধৃতরা মৃতের আত্মীয়৷ গ্রেফতারির পরেও কর্মবিরতি চালু থাকায় ক্ষুব্ধ কর্তৃপক্ষ৷ দ্রুত অবস্থান তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক না করে তুললে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ